ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। শনিবার সকালে দুদিনের সফরে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। প্রায় ১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এটি।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সফর পাকিস্তান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। খবর দ্য নিউজের।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ঢাকা–ইসলামাবাদের মধ্যে গত দুই দশকের শীতল সম্পর্ক উষ্ণ করতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালোচ গত এপ্রিলেই ঢাকায় এসেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আসছেন ইসহাক দার।
সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার তার মূল বৈঠক হবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে। শুরুতে একান্ত বৈঠক এবং পরে প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আলোচনায় ব্যবসা, বিনিয়োগ, সংযুক্তি, মানুষের চলাচল সহজ করা ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বোঝাপড়া ও অভিন্ন স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়। তবে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সুরাহা ছাড়া অগ্রগতি টেকসই হবে না বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন।
ওই দিন বিকেলে ইসহাক দার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সফরকালে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় গিয়ে দেখা করবেন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ডি-৮ সম্মেলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় এসেছিলেন। ১০ বছরের ব্যবধানে ২০২২ সালের জুলাইয়ে হিনা রাব্বানির আবার ডি-৮ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তিনি তখন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হিনা ঢাকায় আসেননি।