নওগাঁর মান্দায় ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়াপাড়া কামাড়কুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয় বিজয় র্যালি। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চার মাথার মোড় গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে এক সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ মতীন। সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল ইসলাম বাদল। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মকলেছুর রহমান মকে, এ.কে.এম নাজমুল হক নাজু, সদস্য ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক নূরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিদ্যুৎ, কৃষকদলের আহবায়ক এমদাদুল হক সুলতান, ছাত্রদলের আহবায়ক সাহিদুজ্জামান সালেক প্রমুখ।
এম.এ মতীন সমাবেশে বলেন, “জুলাই-আগস্টের চেতনাকে অবমাননা করে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বাংলাদেশে কোনো স্থান হবে না। দীর্ঘদিন গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত ছিল এ দেশের মানুষ। এক দুর্নীতিবাজ সরকার দেশকে গ্রাস করেছিল, পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল এবং স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালে ছাত্র জনতা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে দেশ স্বাধীন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত বছরের জুলাই-আগস্টে সারা দেশে আন্দোলনের পর ৫ আগস্ট আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, তবে এই স্বাধীনতা অর্জন করতে ২০২৪ সালে আবারো লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে। অনেক বীর সন্তানকে আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।”
এম.এ মতীন অন্তর্বতী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “যারা বীর সন্তানদের হত্যা করেছে তাদের দ্রুত বিচার করা হোক, এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, যাতে দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে এবং ভোট দিতে পারে।”
তিনি বলেন, “আপনাদের যদি জনপ্রিয়তা থাকে, তাহলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের প্রতি এত ভয় কেন? আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত।”
এ সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১০ সহস্রাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং একাত্মতা প্রকাশ করেন।