1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
কুড়িগ্রামে মাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুরি, শিঙাড়াসহ নানা রকম ফাস্টফুড - NEWSTVBANGLA
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শাপলা শহীদদের স্মরণে ২৪ মের কনফারেন্স সফল করুন : মামুনুল হক আদালত চত্বরে ভ্যান হারিয়ে দিশেহারা আনারুল-আরেফা দম্পতি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই : বিআরইবি ‘সরকারে আর একদিন থাকলেও অভ্যুত্থানের শক্তির প্রতি সম্মান রেখে কাজ করব’ ইরানে সপ্তাহব্যাপী হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল, পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি জুলাই বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে জনবান্ধব নেতৃত্বের বিকল্প নেই : রেজাউল ইশরাকের মেয়র পদে বসা ঠেকাতে আপিলে যাচ্ছেন রিটকারী মহানবী (সা.) ও আয়েশা (রা.) এর দাম্পত্য জীবন যেমন ছিল দাঁত নেই এমন পশু কোরবানি করা যাবে? আমুর খালাতো ভাই ডা. খন্দকার রাহাত গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রামে মাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুরি, শিঙাড়াসহ নানা রকম ফাস্টফুড

প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে মাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুরি, শিঙাড়াসহ নানা রকম ফাস্টফুড
কুড়িগ্রামে প্রথমবারের মতো মাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুরি, শিঙাড়া, চপ, পাকোড়াসহ কয়েক প্রকার মুখরোচক খাবার। ব্যতিক্রমী এই খাবার পেয়ে খুশি ক্রেতারা, আর বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হচ্ছে।

মাছে ভাতে বাঙ্গালী বলা হলেও ফাস্টফুডের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে এই তকমা। শহরের কর্মময় ব্যস্ততায় মাছ কাটা, ধোয়া আর রান্নার অলসতায় নির্ভর হয়ে পড়ছেন অনেকেই ফাস্টফুডের ওপর। এতে করে মানুষের শরীরে ঘাটতি হচ্ছে আমিষের। মাছ আমিষ জাতীয় খাবার। শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাবার। আর মাছকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে কুড়িগ্রাম জেলায় প্রথমবারের মতো তৈরি হচ্ছে মাছের তৈরি মুখরোচক ফাস্টফুড খাবার। আর এসব খাবার পাওয়া যাচ্ছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারে সিরাজুলের চায়ের দোকানে।

সরেজমিনে দেখাযায়, সিরাজুলের চায়ের দোকানে মাছের আইশ ও কাটা ছাড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ফিস ফিল, ফিস পাকোড়া, ফিস ফিঙ্গার, ফিস সিঙারা, পুরি, ফিস সমুচা, ফ্রাই, ফিস বলসহ হরেক রকমের মুখরোচক খাবার। তিলামিয়া, সিলভার কার্প,পাঙ্গাস, রুইসহ স্বল্প মূল্যের মাছ এবং ফিস পাউডার আর মশলা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাছ দিয়ে ফাস্টফুড খাবার। এই দোকানে ছোট বড় অনেকে এসেছেন মাছের তৈরি ফাস্টফুড খেতে। শিশুসহ নানা বয়সীদের শরীরে আমিষের চাহিদা পূরণে স্বল্প মূল্যে এসব মুখরোচক ফাস্টফুড খাবার পেয়ে খুশি ক্রেতারা। ব্যতিক্রমী এই ফাস্টফুড খাবার ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকায় বেশ সারা ফেলেছে।

শিক্ষার্থী রেশমা খাতুন বলেন, আমি বাসায় মাছের তরকারি খাই না কাটার ভয়ে। কিন্তু মাছের এই ফাস্টফুডে কোন আইশ বা কাটা নেই। খেতেও বেশ সুস্বাদু।

অভিভাবক বুলবুলি আকতার বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত নয় এমন খাবারগুলোর প্রতি শিশুরা আগ্রহী। তাদের জন্য এই মাছের ফাস্টফুড খাবারটি প্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই বাড়িতে পরিবারের জন্য আবার অনেকেই টিফিন হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে এই ফাস্টফুড আইটেম। স্থানীয়ভাবে মাছের এই ফাস্টফুড গুলো আরও বেশি করে অন্যান্য দোকানেও যেন পাওয়া যায় সেই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

ক্রেতা মজিবর রহমান বলেন, আগে তো ১০ টাকা দিয়ে নাস্তা খেতাম আলুর শিঙাড়া বা সমুচা। আর এখন ১৫ টাকা দিয়ে মাছের সমুচা খাই। দাম বেশি হলেও এটা খেতে বেশি মজা।

উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি আরডিআরএস বাংলাদেশের তিন দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এরপর কুড়িগ্রাম জেলায় প্রথম মাছের তৈরি ফাস্টফুড বানাচ্ছি। এতে বেশ সাড়া ফেলেছে এলাকায়। প্রতিদিন মানুষ মাছের ফাস্টফুড খেতে আসছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম ১৫ হতে ৩০ টাকা। এতে করে বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে এবং লাভও ভালো হচ্ছে।

উদ্যোক্তা জোবায়দুল হক বলেন, আমি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাছের তৈরি ফাস্টফুড মুখরোচক খাবার তৈরি করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ভ্যানে করে বিক্রি করি। দোকানের অন্যান্য ফাস্টফুডের খাবারের তুলনায় মাছের তৈরি ফাস্টফুড বেশ ভালো চলছে।

আরডিআরএস বাংলাদেশের টেকনিক্যাল অফিসার মোজাম্মেল হক বলেন, সারাবিশ্বে মাছ একটি জনপ্রিয় খাবার। মৎস্য ভ্যালু এডেড পণ্য তৈরি ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থয়ানে আরডিআরএস বাংলাদেশের সহযোগিতায় জেলায় তিনজন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মাছের ফাস্টফুড খাবারটি জেলায় বেশ জনপ্রিয় হওয়ায় আগামীতে আরও উদ্যোক্তা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুক্তাদির খান বলেন, ছোটদের মেধা বিকাশের জন্য মাছ অপরিহার্য খাবার। বাজারের সাধারণ মুখরোচক খাবারের পরিবর্তে মাছের তৈরি এসব খাবার খেলে সব বয়সের মানুষের শরীরে আমিষের চাহিদা পূরণে বেশ ভূমিকা রাখবে। জেলায় মাছের ফাস্টফুড খাবার ছড়িয়ে দিতে জেলা মৎস্য বিভাগ কাজ করছে। এতে করে জেলায় আরও মাছের উৎপাদন বাড়বে। চাষিরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট