শুক্রবার , ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মে রাতভর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সুধারাম ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তারা হলেন- কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খায়ের কমিশনার বাড়ির মোমিনুল হকের ছেলে রকিবুল হক তামিম (২৮), সূবর্ণচরের চরক্লার্ক গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান হৃদয় (২০) ও সদরের অশ্বদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভক্তারপুর গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে নুরনবী রাজু (২৯)।

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী  বলেন, গত ৪ মে রাতে বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শরীয়ত উল্যা তার ভাড়া বাসার সামনে থেকে টিভিএস মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ করেন। পরে গত ২৩ মে সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ওই মোটরসাইকেলসহ আসামি তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও দুটি মোটরসাইকেলসহ অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর তাদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা রুজু করা হয়। আদালতে সোপর্দের আগে থানার সামনে তামিম আমাকে বাইক চুরির কৌশল দেখিয়েছে। তা সচেতনতার জন্য আমার ফেসবুকে পোস্ট করেছি।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, আসামিরা আন্তঃজেলা বাইক চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা এক জেলায় বাইক চুরি করে অন্য জেলায় বিক্রি করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। তারা কীভাবে মাত্র দুই মিনিটে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় তার কৌশল দেখিয়েছে। আদালতে সোপর্দ করা হলে দুই জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

তিনি বলেন, সুকৌশলে এভাবে মোটরসাইকেল চুরি সম্ভব তা আমরা এই ভিডিও থেকে জানতে পারলাম। তাই আমাদের সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে। বাইকটা অরক্ষিত না রাখা। কিছুক্ষণ পর পর খবর রাখা। আমরা অহরহ বাইক চুরির অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা নিষ্পত্তি করছি। তবে সবার আগে নিজেকে সচেতন হতে হবে।