বুধবার , ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ৪ঠা শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

২৭ রমজানে সম্ভাব্য শবে কদর খোঁজা হয় কেন?

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

শবে কদরে শুধু এক রাতে ইবাদতের সৌভাগ্য লাভ করলে আল্লাহ তায়ালা হাজার মাসের থেকেও বেশি ইবাদতের সওয়াব দান করেন। এই রাতটি রমজানের শেষ দশকের বিজোর রাতগুলোতে অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে হাদিসে।

রাসূল সা. বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০১৭, সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬৯)

এই হাদিসে শবে কদর অনির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। তবে অনেকেই ২৭ রমজান শবে কদর অনুসন্ধান করেন। ২৬ রমজান দিবাগত রাত তথা ২৭ রমজান রাতে শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে কোরআন ও হাদিসে এই রাতকে সুনির্দিষ্টভাবে কদরের রাত বলা হয়নি। হাদিসে কদরের রাত বিষয়ে মোট ছয় ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায়। এসব বর্ণনার মধ্যে সমন্বয় করে শায়খ আবদুল্লাহ বিন বাজ (রহ.) ২৭ রমজান রাতকে কদরের রাত হওয়ার মত প্রাধান্য দিয়েছেন।

যারা ২৭ রমজানের মতকে প্রাধান্য দেন তাদের মূল দলিল এই হাদিস, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সারা বছর রাত জেগে নামাজ আদায় করবে সে কদরের রাত প্রাপ্ত হবে। এ কথা শুনে উবাই ইবনু কাব বললেন, যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই সে মহান আল্লাহর কসম! নিশ্চিতভাবে লাইলাতুল কদর রমজান মাসে। এ কথা বলতে তিনি কসম করলেন, কিন্তু ইনশা-আল্লাহ বললেন না (অর্থাৎ তিনি নিশ্চিতভাবেই বুঝলেন যে রমজান মাসের মধ্যেই ‘লাইলাতুল কদর’ আছে)। এরপর তিনি (সা.) আবার বললেন, আল্লাহর কসম! কোন রাতটি কদরের রাত তা-ও আমি জানি।

সেটি হলো এ রাত, যে রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সালাত আদায় করতে আদেশ করেছেন। ২৭ রমজান তারিখের সকালের পূর্বের রাতটিই সে রাত। আর ওই রাতের আলামত বা লক্ষণ হলো—সে রাত শেষে সকালে সূর্য উদিত হবে, তা উজ্জ্বল হবে, কিন্তু সে সময় (উদয়ের সময়) তার কোনো তীব্র আলোকরশ্মি থাকবে না (অর্থাৎ দিনের তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ হবে)। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৭০)

প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা আবশ্যক।