২০২৬ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) গ্র্যাজুয়েশন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, আজকে কেবিনেট মিটিংয়ে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিজনেসের সক্ষমতা বাড়বে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের কারণের যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে সেগুলোর বিষয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এলডিসির উত্তরণের ফলে ওষুধ শিল্পে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে কি না? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি আছে, প্রত্যেকটা ইন্ডাস্ট্রিতে কি পরিমাণ ইমপ্যাক্ট পড়তে পারে, আদৌ পড়বে কিনা, সবকিছু নিয়েই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চিন্তা ভাবনা করেছে। অভিজ্ঞদের মতামত নিয়েছে, কথা বলেছে। এরপর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনো ধরনের ইমপ্যাক্ট পড়লে আমরা আগের থেকেই প্রস্তুতি নেব। ২০২৬ সালে গ্রেজুয়েট করলেও আমরা যে বেনিফিট গুলো পাচ্ছিলাম সেটা আরো তিন বছর থাকবে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অনেক সক্ষমতা হয়েছে।
আদানির বকেয়া নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবের তিনি বলেন, অনেকগুলো কোম্পানির বকেয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা খুব অক্সিলারি ওয়েতে টাকাগুলো দিচ্ছি। এক হচ্ছে যে বিল দিচ্ছি এবং পূর্বের যে বিলগুলো জমা ছিল, পতিত স্বৈরাচার দেননি, টাকাগুলো তারা বিল্ডআপ করে রেখে গেছেন, সে টাকাগুলো আমরা দিচ্ছি। যাদের সঙ্গে বাংলাদেশ গভমেন্ট কাজ করছে, সন্তোষ জানিয়েছে।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার প্রসঙ্গে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? তিনি বলেন,আমরা খুবই শোকাহত। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি মাগুরা শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। আমাদের মিলিটারি চিকিৎসকরা চেষ্টা করেছেন। যারা এই ঘটনা অভিযুক্ত তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা অভিযুক্ত তাদের খুব দ্রুত বিচারে আওতায় আনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।
‘আমাদের ইউনাইটেড ন্যাশনের সেক্রেটারি আসছেন। এটা আমাদের জন্য খুবই সম্মানের বিষয়। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সফর। তার সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। এই ট্যুরকে সামনে রেখে শাহবাগে জমায়েতের বিষয়টা সিদ্ধান্ত হয়েছে।’c