সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

১১৪ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কিংবদন্তি ম্যারাথন দৌড়বিদ ফৌজা সিং

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ম্যারাথন দৌড়বিদ হিসেবে পরিচিত ফৌজা সিং মারা গেছেন। ১১৪ বছর বয়সে ভারতের পাঞ্জাবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। তিনটি মহাদেশে মোট ৯টি পূর্ণ ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন ফৌজা সিং।

এমনকি অলিম্পিকে মশাল বহনের সম্মানও অর্জন করেন তিনি। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার ১১৪ বছর বয়সে পাঞ্জাবের জালন্ধর-পাঠানকোট মহাসড়কে এক গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন ফৌজা সিং। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

১৯১১ সালের ১ এপ্রিল পাঞ্জাবের জালন্ধরের বেয়াস গ্রামে জন্ম নেওয়া ফৌজা সিং বয়সকে কখনোই বাধা মানেননি। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী ও ছেলেকে হারানোর পর জীবনের শূন্যতা কাটাতে ৮৯ বছর বয়সে দৌড়ানোকে সিরিয়াসভাবে নেওয়া শুরু করেন তিনি। ২০০০ সালে লন্ডন ম্যারাথনের মাধ্যমে তার প্রতিযোগিতামূলক দৌড়ের যাত্রা শুরু হয়।
তিনটি মহাদেশে মোট ৯টি পূর্ণ ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন তিনি— লন্ডন, টরন্টো ও নিউইয়র্কে। তার সেরা টাইমিং ছিল ৫ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ৪ সেকেন্ড, যা তিনি করেন টরন্টো ম্যারাথনে।

তিনি ২০০৪ সালের অ্যাথেন্স অলিম্পিক ও ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে অলিম্পিক মশাল বহনের সম্মানও অর্জন করেন। এমনকি একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্রেও তিনি ছিলেন, যেখানে ডেভিড বেকহ্যাম ও মোহাম্মদ আলীর মতো তারকারাও অংশ নিয়েছিলেন।

এদিকে ফৌজা সিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাবের গভর্নর গুলাবচাঁদ কাটারিয়া।

তিনি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, “সর্দার ফৌজা সিং জি-র মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন অদম্য সাহস ও প্রেরণার প্রতীক। মাত্র কিছু মাস আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আমি ‘নেশা মুক্ত – রঙ্গিলা পাঞ্জাব’ পদযাত্রায় তার সঙ্গে হাঁটার সৌভাগ্য লাভ করি। তখনও তার উপস্থিতি সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছিল।”

ফৌজা সিংয়ের মরদেহ জালন্ধরের একটি হিমঘরে রাখা হয়েছে। দেশের বাইরে থাকা তার সন্তানরা ফিরলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে