শনিবার , ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৫ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

হোটেলে আটকে রেখে নার্সকে ধর্ষণ, হাসপাতালের মালিক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

নিজ ক্লিনিকের নার্সকে অপহরণ করে কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে টানা তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুরের শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদের (৪২)। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে শিবচরের বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত আপেল মাহমুদ শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার মৃত চানমিয়া শিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগে শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্সকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদ কুপ্রস্তাব দিতেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ওই নার্স হাসপাতালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তার গতিরোধ করে আপেল মাহমুদ জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাকে টানা তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে ২৫ ডিসেম্বর তাকে শিবচর এনে একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ভুয়া বিয়ের নথি তৈরি করে ছেড়ে দেন আপেল মাহমুদ।

এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর ওই নার্সের পরিবার শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় মাদারীপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তারা। পরে আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়। এ ঘটনার পর আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে শিবচর থানার এসআই রেনুকা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক মালিক আপেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে।

শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, আসামি আপেল মাহমুদ শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের একজন শেয়ার পার্টনার মালিক। তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নার্সকে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাকে মাদারীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তিনি শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে স্থানীয় লোকজন খুশি হয়েছে। তিনি এলাকায় খারাপ প্রকৃতির লোক হিসেবে পরিচিত।