বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ ড্রাগ প্রোমোশন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাইপারটেনশন মোকাবিলায় ওষুধ প্রোমোশন, গবেষণা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় অংশগ্রহণকারীরা দেশে সরকারি পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর ওষুধের সহজলভ্যতা ও সরকারি প্রমোশনাল উদ্যোগকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এসময় তিনি বলেন, হাইপারটেনশন এখন একটি নীরব ঘাতক হিসেবে বিবেচিত। আমাদের দেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের একজন এই রোগে ভুগছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা ও প্রমোশনাল কর্মকাণ্ড জোরদার করা জরুরি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক, বেসিক ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ হোসেন, নিউরোসার্জন সহযোগী অধ্যাপক ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মারুফ হক খানসহ আরও অনেকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হাইপারটেনশন বিশ্বব্যাপী প্রায় ১.২৮ বিলিয়ন মানুষের একটি প্রধান স্বাস্থ্যঝুঁকি। বাংলাদেশে কার্ডিওভাসকুলার রোগজনিত মৃত্যুর একটি বড় অংশ এই রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চিকিৎসক, গবেষক ও স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারকদের সম্মিলিত উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ ড্রাগ হলো এমন একটি ওষুধের শ্রেণি, যা উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের ওষুধ রক্তনালির প্রাচীরকে প্রশস্ত করে, হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকল হওয়ার মতো জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।