প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগের আশ্বাস পাওয়ার পর হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ‘পালাইছে রে পালাইছে, প্রধান বিচারপতি পালাইছে’-স্লোগান দিতে দিতে হাইকোর্ট ছাড়েন। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে তারা হাইকোর্ট থেকে চলে যেতে থাকেন এবং ২টার মধ্যে হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে দেন। এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন শিক্ষার্থীদের বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আপনার এখন চলে যান। এর আগে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আজ সন্ধ্যার মধ্যে পদত্যাগ করবেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান— এমন তথ্য জানানোর পর হাইকোর্ট এলাকা থেকে সবাইকে সরে যেতে অনুরোধ করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এসময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাইকে বলেন, আপনারা সুষ্ঠু বিচারের জন্যই এ আন্দোলন করছেন। প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। আপনারা এখন এ জায়গা থেকে সরে যান। এতো ভিড়ের মধ্যে যেকোনো অঘটন ঘটাতে পারে। তাতে বিচারশালা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও আপনাদের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হবে। আপনারা সরে যান। শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে হাইকোর্টে আসা শুরু করেন।
তারা বিচারপতিদের দলবাজ দাবি করে পদত্যাগ করার জন্য স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা স্লোগানে বলেন— ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’; ‘দফা এক দাবি এক, বিচারপতির পদত্যাগ’; ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’; ‘শেখ হাসিনার দালালি, চলবে না চলবে না’। এর আগে সকালে সব বিচারপতির অংশগ্রহণে প্রধান বিচারপতির ডাকা সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে আদালত পরিচালনা করা যায় ও বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি। পরে এটি স্থগিত করা হয়।