কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ব্যানার বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুই যুগ্ম-আহ্বায়ককে হত্যার হুমকিদাতা ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তারা নিরাপত্তা চেয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ মিছিলের পর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতারা এ দাবি করেন।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলে ছাত্রলীগের নেতারা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরূল হক নূর এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খানকে হত্যার হুমকি দেন। এ সময় তাদের কাছে পিস্তল ছিল।
বিক্ষোভ মিছিল দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে শুরু হয়ে মধুর ক্যান্টিন ও শহীদ মিনার হয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা স্লোগন দিতে থাকেন, ‘হুমকি দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’‘বুলেট দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’‘হই হই রই রই সন্ত্রাসীরা গেলি কই’সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলন করে আসছি। সরকারও আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। তারপরও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে। রংপুরে পুলিশ বাধা দিয়েছে। গতকাল চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ইয়াবা ব্যবসায়ী ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ বাপ্পি পিস্তল নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার রুমে যায়।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে বলব, আমাদের দুর্বল ভাববেন না। আমরা আপনাদের আশ্বাসে সব সময় বিশ্বাস করেছি। তারপরও কেন আমাদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী মহসিন হলের ১১৯ রুমে গিয়ে ওই দুইজনকে হত্যার হুমকি দেয়।