1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে যা করবেন - NEWSTVBANGLA
বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন

স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

আমরা যে দ্রুতগতির জীবনযাপন করি, তাতে মনে হয় মানসিক চাপ বা স্ট্রেস আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। এতটাই যে মাঝে মাঝে এটি অনিবার্য বলে মনে হয়। তবে কিছু সহজ দৈনন্দিন অভ্যাস চাপ কমাতে এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে সাহায্য করতে পারে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাপক পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না ছোট ছোট কিছু সচেতন অভ্যাস আমাদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, চাপমুক্ত জীবনযাপনের উপায়-

মননশীলতা

ধর্মীয় প্রার্থনা, ধ্যান এবং কর্ম সম্পর্কে সচেতন থাকার মতো সহজ উপায় চাপ কমাতে এবং ভারী পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। এমনকী পাঁচ মিনিটের জন্য নিজের নিঃশ্বাসের ওপর মনোযোগ দেওয়াও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তার মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে। কর্মক্ষেত্রে, যানজটে বা বাড়িতে এটি তাৎক্ষণিক রিলিফ পাওয়ার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।

নিজের স্থান পরিষ্কার করুন

আশেপাশের পরিবেশ এবং বাড়ি আমাদের মনের অবস্থা প্রতিফলিত করে। বিশৃঙ্খল স্থান বিশৃঙ্খল মন এবং আরও স্ট্রেসের কারণ হতে পারে। তাই বাড়িতে বা কর্মক্ষেত্রে নিজের স্থান পরিষ্কার করলে তা স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। ছোট করে শুরু করুন- একটি ঘর, একটি ড্রয়ার অথবা আপনার অফিসের ডেস্কটি পরিষ্কার করুন। পরিপাটি স্থান আরও মানসিক স্বচ্ছতা নিয়ে আসে।

দৈনন্দিন রুটিন করুন

সাধারণ কাজের একটি দৈনন্দিন রুটিন- যেমন প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমানো, ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, আপনজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় ব্যয় করা- সবকিছুই জীবনে স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করতে পারে। এটি চাপের মাত্রা অনেকাংশে কমাতেও সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন কী করতে হবে তা জানা থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্লান্তি কমবে। এতে জীবনের ওপর শৃঙ্খলা এবং নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি তৈরি করে।

স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন

অন্যদের সঙ্গে এবং বিশ্বের সঙ্গে ডিজিটালভাবে ক্রমাগত সংযুক্ত থাকার অভ্যাস কখনও কখনও স্ট্রেস বাড়িয়ে দিতে পারে। ক্রমাগত বিজ্ঞপ্তি, অবিরাম স্ক্রলিং এবং অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমও মানসিক ক্লান্তির কারণ হতে পারে। মানসিক চাপের মাত্রা কমাতে সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে মনোনিবেশ করা গুরুত্বপূর্ণ। স্ক্রিন-ফ্রি টাইম নির্ধারণ করে বাউন্ডারি সেট করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন। এটি ঘুমের মান উন্নত করবে।

নিজের যত্ন করুন

নিজের যত্ন মানে স্বার্থপরতা নয়, এটি স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনার নিজের জন্য অতিরিক্ত কিছু করার দরকার নেই। এক কাপ চা উপভোগ করা, হালকা গরম পানিতে করা বা প্রকৃতিতে সময় কাটানোর মতো সহজ কিছু কাজ আপনাকে অনেকটাই চাপমুক্ত করবে। নিয়মিত শরীরচর্চা, হাঁটাহাঁটি ইত্যাদি শরীরের স্বাভাবিক চাপ উপশমকারী এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে। এছাড়াও শখ বা সৃজনশীল কাজ মানসিক চাপ থেকে আনন্দের দিকে মনোযোগ পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট