।রোববার (৩০ মার্চ) সকালে জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদের নামাজ আদায় করেন ওই ১৭ গ্রামের প্রায় ২ হাজার মুসলমান।
এর আগে, দেশের আকাশে কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা না গেলেও একই নিয়মে রোজা রাখেন ওই ১৭ গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে, জেলার ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের রামভদ্রা, সাপধরীর ইউনিয়নের পশ্চিম মন্ডলপাড়া সরিষাবাড়ি উপজেলার বলারদিয়া, বাউসী, সাতপোয়া, পঞ্চপীর, সাঞ্চারপাড়, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুঠিয়ারপাড় ও বগারপাড়সহ ১৭টি গ্রামের মানুষ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করছেন। তবে ওই ১৭টি গ্রামের মানুষের মধ্যে আজ কিছু অংশ ঈদ উদযাপন করলেও বেশিরভাগ মানুষ প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী দেশের আকাশে চাঁদ দেখে ঈদ পালন করার কথা জানিয়েছেন।
গঙ্গাপাড়া এলাকার খাইরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা অনেকদিন থেকেই সৌদির সঙ্গে মিল রেখে একইদিন ঈদ পালন করি। শুরুতে অনেক মানুষ নানা প্রকার কথা বলতো। কেউ আমাদের বিরোধিতা করে আবার অনেকে সমর্থনও করে। একইদিন চাঁদ ওঠে তাই আমরা একইদিন ঈদ পালন করি।
ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের রায়েরপাড়া ঈদগাহ মাঠের ইমাম মাওলানা মো. ইয়াকুব আলী ঢাক পোস্টকে বলেন, চাঁদ একইদিনে ওঠে ঈদও একইদিন হবে। আমাদের সমাজের অনেক মানুষ আগের দিনের নিয়ম ধরে রেখেছে। পৃথিবীতে চাঁদ একটাই। সুতরাং পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা তারাবি, রোজা ও ঈদ পালন করি।