মাদারীপুরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন ২৫ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার চর কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। এই জামাতে কয়েকশ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।
ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা সিদ্দুকুর রহমান। নামাজ শেষে শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সকলে কোলাকুলি করে ঈদের আদন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
জানা যায়, সুরেশ্বর দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা হজরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা প্রায় দেড়শ বছর আগ থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা বাহেরচর, তাল্লুক, চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, দৌলতপুর, কালিকাপুর, হোসনাবাদ, রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ি, বাহেরচর, কেরানীরবাট, কালকিনি উপজেলার রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাসেরহাটসহ জেলার ২৫টি গ্রামের মানুষ ঈদ উৎসব পালন করছেন।
সুরেশ্বর দরবার শরিফের মুরিদ মো. সাগর দেওয়ান বলেন, সারা দেশের মানুষ আগামীকাল ঈদ উদযাপন করবে। কিন্তু আমরা যারা সুরেশ্বর দরবার শরিফের ভক্তবৃন্দ আছি তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করি। আমরা মনে করি সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে মানেই আমাদের ঈদ। কারণ সারা বিশ্বের মানুষ একত্রে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন। সেই মতে ঈদও একই দিন পালন করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, প্রায় দেড়শ বছর ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করা হয়। বছরে দুটি ঈদ উৎসব এভাবেই পালন করে আসছেন এখানকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। আজ জেলার বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার তাল্লুক গ্রামে। এখানে কয়েকশ মানুষ একত্রে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।