সিলেটে কমছে নদ-নদীর পানি
সিলেটে বিভিন্ন নদ-নদীর পানির উচ্চতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। যা বন্যার আশঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও উজানের ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী অধিকাংশ নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে।
সোমবার (৯ জুন) সকাল ৯টার হিসাব অনুযায়ী, সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ৮ জুন সন্ধ্যার তুলনায় আরও কমে গেছে।
কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি ৮ জুন সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১২.৫৯ মিটার, যা ৯ জুন সকালে কমে দাঁড়ায় ১২.৩৮ মিটার। যেখানে বিপৎসীমার উচ্চতা ১২.৭৫ মিটার। অর্থাৎ পানি এখন বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
সিলেট শহরের সুরমা পয়েন্টে পানি ৯.৯৫ মিটার থেকে কমে ৯.৮১ মিটারে নেমেছে, যেখানে বিপৎসীমার উচ্চতা ১০.৮০ মিটার। পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর আমলসিদ পয়েন্টে পানি ১৫.২৯ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৯৯ মিটারে। বিপৎসীমার উচ্চতা ১৫.৪০ মিটার। পানি বিপৎসীমার নিচে আছে। শেওলা পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি ১২.৬০ থেকে কমে ১২.৪৬ মিটার হয়েছে। বিপৎসীমার উচ্চতা ১৩.০৫ মিটার। পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। এখানে পানি ১০.১৪ মিটার, যেখানে পানির বিপৎসীমা ৯.৪৫ মিটার।
এছাড়াও শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি ৮.২৭ থেকে ৮.২৫ মিটারে নেমেছে। বিপৎসীমার উচ্চতা ৮.৫৫ মিটার। পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি ৯.৫১ থেকে ৯.৪২ মিটারে নেমেছে। জাফলংয়ের ডাউকি নদীর পানি ৯.১৬ থেকে ৮.৯৯ মিটারে কমেছে। গোয়াইনঘাটে সারিগোয়াইন নদীর পানি ৯.১৩ থেকে কমে হয়েছে ৮.৫৫ মিটার। ইসলামপুরে ধলাই নদীর পানি ৯.০২ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৯১ মিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ মৃন্ময় শরীফ বলেন, সিলেটের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি এখনো সামান্য বিপৎসীমার ওপরে আছে। উজানে বড় ধরনের বৃষ্টি না থাকায় আপাতত বন্যার শঙ্কা নেই। আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি।