রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চাকরির বয়স বৃদ্ধির দাবিতে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইডেন ছাত্রী মুক্তা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩
চাকরির বয়স সীমা বৃদ্ধির দাবিতে ফেসবুক লাইভে এসে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মুক্তা সুলতানা। তার সার্টিফিকেট এখন সরকারি বেসরকারি কোনো চাকরিতে কাজে লাগছে না জানিয়ে তার ২৭ বছরের অর্জিত সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেছেন।
সোমবার (২৩ মে) ইডেন কলেজের সামনে তার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে আসেন। সেশনজট ও করোনার  কারণে যাদের চাকরির আবেদনের সময় শেষ হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে তিনি এই প্রতিবাদ করেন।
লাইভে দেখা যায়, তিনি তার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতোকোত্তরের সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। পুড়িয়ে ফেলার আগে তিনি দেখান, তার স্নাতক পরীক্ষা ২০১৩ সালে এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালে তার পরীক্ষা হলেও ২০১৯ সালে তার সার্টিফিকেট ইস্যু হয়। ২০১৫ সালে পরীক্ষা দিয়েও তিনি ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪ বছর কোথাও আবেদন করতে পারছেন না। এদিকে চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী তার আবেদনের সময়ের ৪ বছর কাজে লাগাতে পারছেন না। 
লাইভে আক্ষেপের সুরে মুক্তা সুলতানা বলেন, যে সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায় না, বেসরকারি চাকরিতেও আবেদন করা যায় না সে সার্টিফিকেট রেখে কী লাভ।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুক্তা সুলতানা ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘আমাদের সুযোগ করে দেওয়া হোক, আপনি তো লাইভে দেখলেন সেখানে বলেছি, আমরা পাশ করলেও সেশন জটের কারণে আবেদনের বয়স ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সুযোগ দেওয়া হোক সেটাই চাই।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়াসহ পৃথিবীর কোথাও এই বয়স সীমা নেই। শুধু বাংলাদেশ আর পাকিস্তানে এই অবস্থা। ২৭ বছর পড়াশুনা করে যদি আবেদনই না করতে পারি তাহলে আমরা কী করতে পারি?’
মুক্তা সুলতানা বরাবরই চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার জন্য আন্দোলন ও প্রতিবাদ করে থাকেন। তারই অংশ হিসাবে আজ তিনি সারাজীবনের সব সার্টিফিকেট ফেসবুক লাইভে এসে পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানালেন।