প্রকাশিত হয়েছে: বুধবার, ১৩ জুন ২০১৮, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫, ২৭ রমজান ১৪৩৯
সুনামধন্য ওসি এএফএম সায়েদ
ঢাকা ম্যাক্স এর নিজস্ব প্রতিবেদন :দিদার সাভার ও আশুলিয়া থেকে ঘুরে : সাভার ও আশুলিয়ার ঘরে ঘরে মাদক বিরোধী অভিযানের পর জানা গেছে যে যারা কিনা মাদক সেবন করতো এবং টুকটাক বিক্রি করতো তারা এখন কেউবা ফল বিক্রি করে কেউবা কলা বিক্রি করে। এইসব সম্ভব হলো একজনের কারণে। এলাকার মানুষ জানায় এলাকা থেকে কমে গেছে চাঁদাবাজি সন্ত্রাস মাদক ব্যবসা এবং এলাকার মানুষ তাদের সন্তানদেরকে নিয়ে রয়েছে অনেকটা সুখে-শান্তিতে , এইসব সম্ভব হলো শুধু একজনের কারণে সে হলো ।
সুনামধন্য ওসি এএফএম সায়েদ, অফিসার ইনচার্জ, ঢাকা জেলা পুলিশের উত্তর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তিনি সাভার ডিবি উত্তর যোগদানের পরই পাল্টে যায় ডিবির চিত্র। ডিবি শাসক নয়, শোষক নয়; ডিবি জনগণের সেবক। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত এখন পুরো সাভার । হ্রাস পেয়েছে ডিবি কর্তৃক মানুষের হয়রানি। ন্যায় বিচারের মূলে ডিবির নিরপেক্ষতা এবং সততা।
তিনি আরো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাদকসেবনকারী এবং মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক না কেন তার কোন নিস্তার নেই তার কাছ থেকে।
রাজধানীর পাশ্ববর্তী একটি উপজেলা সাভার। একেতো শিল্পাঞ্চল, তার উপরে জনবহুল হওয়ায় এই অঞ্চলের সাধারন মানুষের জীবনকে জিম্মি করে ফায়দা লুটতে বরাবরই সচেষ্ট বিভিন্ন অপরাধী সিন্ডিকেট। এই অঞ্চলের তরুন যুব সমাজকে ধংশ করতে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা এমনকি ইয়াবার সহজলভ্যতার জন্য কুখ্যাত চট্টগ্রামের কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়া থেকেও জনবহুল এই উপজেলা সাভারে এসে বিভিন্ন সময় মাদকের ঘাটি তৈরীর চেষ্টা করেছে দেশের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা। তাছাড়াও আন্তঃজেলা ডাকাত, ছিনতাই, প্রতারকসহ বিভিন্ন অপরাধী সিন্ডিকেটতো আছেই। আর এই সকল অপরাধীদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডকে প্রতিহত করে এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা জেলা পুলিশের পাশাপাশি সর্বক্ষণ তৎপর ঢাকা জেলা পুলিশের উত্তর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে দেশের অন্যতম একটি বাহিনীর ভাবমুর্তি। একমাত্র এ বাহিনীটিকেই জনসাধারণের সংস্পর্শে যেতে হয়, পেশাদারিত্বের স্বার্থে। তাই অনেক সময় বিভিন্ন কারনে বা অকারনে লোভ ও লালসার বশবর্তী হয়ে পড়েন কিছু সদস্য। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই সাহসী কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন ওসি এএফএম সায়েদ। সকল শক্তি অপশক্তিকে উপেক্ষা করে মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে অফিসারদের প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রেরণাদীপ্ত পারঙ্গমতা প্রদর্শনে সফল হয়েছেন তিনি। প্রতারক চক্রের অপতৎপরতা রোধে গোটা সাভার/উপজেলা মাদক বিরোধী মূলক আভিজান লিফলেট ও পোষ্টার বিতরণসহ অফিসার ও এলাকা বাসীদের মাদক বিরোধী এবং জঙ্গিবাদ অভিযানে গণসচেতনতা তৈরী করে, সফল হয়েছেন তিনি।
ওসি এএফএম সায়েদ ঢাকা জেলা পুলিশের উত্তর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এই যোগদানের পর থেকেই তাঁর কাজের সাফল্য ধারাবাহিকতা-সাফল্য স্বাক্ষী হয়ে থাকবে সাভার ও আশুলিয়া ইতিহাসে। ইতিমধ্যে তিনি সাধারাণ মানুষের পাশাপাশি থেকে জয় করে নিয়েছেন অভিভাবক মহলেরও মন ও সংসদ সদস্য ডা.এনামুর রহমান । ও সকল এলাকার যুবসমাজ যখন মাদকের ছোবলে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে তখন মাদকের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দূরদর্শিতার ফলে প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য এবং আটক হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী-পাঁচারকারী এবং মাদকসেবী, আটক ও উদ্ধারে অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
বিগত সময়ের তুলনায় ২০১৬ সালে ঢাকা জেলা
পুলিশে জনাব শাহ মিজান শাফিউর রহমান পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব গ্রহনের পর পুলিশি কর্মকান্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ঢাকা জেলা ইউনিটে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়। সেইসাথে পুলিশের এক চৌকষ কর্মকর্তা ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.এফ.এম সায়েদ এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যদের সমন্ময়ে ডিবি উত্তরের গোটা ইউনিট ২০১৭ সালে মাদক বিরোধী অভিযান, অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্র দমনে রেখেছে অসামান্য অবদান
শুধুমাত্র ডিবি উত্তরের মাদক বিরোধী অভিযানে তাদের কর্মক্ষেত্র সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকা থেকে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে উদ্ধার করা হয়েছে ১ লক্ষ ৫০হাজার ৯৫৫ পিস ইয়াবা, ২৯ হাজার ৭৯৯ পুরিয়া হেরোইন, প্রায় ১০০ কেজি ২৫০ গ্রাম গাঁজা, ১০ হাজার১০০ লিটার বাংলা মদ, ৪ হাজার ৯০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৮০০ ক্যান বিদেশি বিয়ার।
তাছাড়া বিভিন্ন অপরাধী চক্রের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ৪টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগজিন, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২টি ওয়ান শুটার গান, ১টি লোহার তৈরী পাইপগান, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি ধারালো সামুরাই, ৪টি রাম’দা, ৪টি চাপাতি, ৫টি চাকু। এছাড়াও তাদের অর্জনে রয়েছে সাভারের আলোচিত চাল বোঝাই ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনায় চালসহ ছিনতাইকৃত ট্রাক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী শিলা আত্মহনন মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার সহ বহু চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন। ভুয়া ডিবি পুলিশের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১ জোড়া হ্যান্ডকাফ, ১টি খেলনা পিস্তল, ১টি খেলনা ওয়াকিটকি, ভুয়া পরিচয়পত্রসহ আরও অনেক কিছু। আইনের আওতায় আনা হয়েছে বহু শীর্ষস্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী, পলাতক আসামী, আন্তঃজেলা ডাকাত দল, ছিনতাই, বিভিন্ন অপরাধী চক্রসহ বহু অপরাধীকে।
পরিসংখ্যান বলছে পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের তুলনায় বহুলাংশে এগিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) উত্তরের এই ইউনিট। তাদের প্রশংসনিয় কার্যক্রম সাফল্যমন্ডিত করে তুলেছে ২০১৭/২০১৮ সালটিকে।
এছাড়াও ওসি এএফএম সায়েদ ডিবিতে যোগদানের পর প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের, কমে গেছে অকারনে জিডির প্রবণতা। সাধারণ মানুষের ভয় কেটেছে ডিবির প্রতি, সেবা প্রাপ্তির লক্ষে ডিবির দ্বারস্ত হচ্ছে এখন মানুষ।
এএফএম সায়েদ ডিবির কর্মকর্তাদের নিয়ে সময়ে সময়ে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অফিসারদের কাজে দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছেন।
এতে করে ডিবি হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষের অনেটাই স্বস্তি পেয়েছে এলাকার মানুষ এছাড়া এলাকার মানুষ আরো জানিয়েছে এবং জানাই আগে যেমন এলাকায় ছিনতাই রাহাজানি হতো এখন অনেকটা কমে গিয়েছে উনি আসার পর থেকেই। আর । শুধু তাই নয় ঈদকে সামনে রেখে সাভার আরিচা মহাসড়ক যানজট ও দুর্ঘটনাএড়ানোর জন্য উনি উনার ফোর্সদের নিয়ে নিজেই নেমেছে কারণ ঈদকে সামনে রেখে চুরি ছিনতাই নির্মুল রাখার জন্য অঘাত ডিউটি সারাদিন রোজা রেখে। সমাধানের জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি।
ডিবির প্রতি নির্ভরশীলতার অভাবে অনেক মানুষেরই ছোটখাটো কোন বিষয় নিয়ে ডিবির কাছে যেতে সংকজ বোধ করতে ছিল। অনেকে নিরবে-নিবৃত্তে প্রভাবশালীদের ছোটখাটো জুলুম ও অত্যাচার এবং নির্যাতন প্রভাব করে গেছেন। এতে করে অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে ছিল। এসব সামাজিক সমস্যা নিরসনে ওসি এএফএম সায়েদের উদ্দেগের সাধারণ মানুষ অনেকটা স্বস্তি পেয়েছে । অপরাধীদের এখন অপরাধীরা অপরাধ থেকে অনেকটা নির্মূল হয়েছে এখন। তাঁর এ উদ্যোগ চলমান থাকলে ডিবির হারানো ভাবমুর্তি যেমন ফিরে আসবে তেমনি মানুষের জীবনেও সুখের সুবাতাস বইবে।