1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
সংস্কার না করায় বিলীন হয়ে গেছে করতোয়া নদী - NEWSTVBANGLA
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঢাকায় রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে জুলাই বিপ্লব নতুনভাবে দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা যাবে না : চসিক মেয়র ‘হঠাৎ বিকট শব্দ, দৌড়ে গিয়ে দেখি বাড়ির ভেতরে আগুন আর কান্নাকাটি’ পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করার আহ্বান না ফেরার দেশে নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে ৭.৫ কোটি টাকার ভুয়া গল্প, আসলেই কি ঘটেছে বেলকুচিতে রাতের মধ্যে যেসব এলাকায় ঝড় হতে পারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামায় জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ললিপপ জনি কেরানীগঞ্জে এসি বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে

সংস্কার না করায় বিলীন হয়ে গেছে করতোয়া নদী

অনলাইন ডেস্ক :

জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার করতোয়া নদীর তীরে নির্মিত বাঁধটি ৪ দশকের অধিক সংস্কার না করায় বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে ঘোড়াঘাট পৌর বাসিন্দারা। তদারকি না করায় বাঁধের কোনো চিহ্নই নেই। দিনাজপুর ঘোড়াঘাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ঘোড়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুছ আলী মন্ডল এর সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা যায। তিনি জানান, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এরইমধ্যে বাঁধ কেটে অনেকে ফসলি জমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে সেসব স্থানে বাঁধের অস্তিত্বও নেই। কিছু কিছু জায়গায় বাঁধের ভাঙ্গা স্থান চিহ্ন রেখেছে।

তিনি জানান, মোগল সম্রাটের ২৪ টি পরগনার একটি পরগনা ঘোড়াঘাট একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানেই ছিল করতোয়া নদীর তীরে বিশাল এলাকা জুড়ে মোগল সম্রাটের ঘোড়াশালা । এখান থেকে ঘোড়া পাঠানো হতো দিল্লিতে। সেই ঐতিহাসিক ঘোড়াশালাটি এখন করতোয়া নদীর তীরে বাঁধ না থাকায় নদী ভাঙ্গনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মোগল সম্রাটের ঐতিহাসিক ঘোড়াশালা ও জনবসতির গ্রাম রক্ষার্থে বাঁধ নির্মাণ করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। সরজমিনে গিয়ে তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, করতোয়া নদীর তীরবর্তী ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মোগল সম্রাটের পরগনা ঘোড়াঘাট পৌরশহরে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস।

একদিকে বাঁধ নেই অন্যদিকে নাব্য সংকটের কারণে করতোয়া মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। যার কারণে অল্প বৃষ্টিতে নদীর পানি ফুলে ফেঁপে উঠে শহর ও গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ে। নদীর তীর থেকে ৫০০ মিটার দূরে পৌরভবন, পুরাতন বাজার, মসজিদ, মাজার, মন্দিরসহ অনেক স্থাপনা নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী । ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদীর তীর রক্ষা বাঁধ সংস্কারকারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম ও ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকির গাফিলতিকে দায়ী করছেন। জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার ৪ নং ইউপির সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান জানান, আমি ১৯৮৪ সালে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলাম।

তার পূর্বে ১৯৭২ সালে এ উপজেলার করতোয়া নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরপর ১৯৮০ সালে দিকে সংস্কার করা হয়েছে। পরে ২০০৫ সালে পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এ বাঁধ পুনঃনির্মাণ বা সংস্কার হয়নি। অবিরাম বৃষ্টিতে পৌরশহরে পানি প্রবেশ করে। এখন পৌরশহর বর্ষা মৌসুমী জলবদ্ধতায় হুমকির মুখে। এছাড়া ঘনবসতির কারণে পৌর এলাকায় পানি নেমে যাওয়ার জন্য ড্রেন নির্মাণের ব্যবস্থা নেই । ফলে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে।

ঘোড়াঘাট পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন বলেন, শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ খুব জরুরি। শহর রক্ষা বাঁধ দিলে একদিকে যেমন শহর রক্ষা পাবে, অন্যদিকে নদীও বাঁচবে। এজন্য পরিকল্পনা করতে হবে বাস্তবসম্মত ও দীর্ঘমেয়াদি। শুধু শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করলেই হবে না,। করোতোয়া নদী ন্যাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে গেছ। নদীটি নাব্যতা ফিরাতে ড্রেজিং করা প্রয়োজন। নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা যেতে পারে। তাতে মানুষের বিনোদনের জায়গা তৈরি হবে ও নগরীর সৌন্দর্যও বাড়বে। এজন্য পাউবোকে অবগত করা হবে। যাতে তারা অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। ঘোড়াঘাট পৌর শহর রক্ষা বাঁধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট