শুক্রবার , ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

শ্রমিকদের সঙ্গে খুবি শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে তারা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তারা বাস মালিক ও শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী-নৌবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সময়ন্বয়ক মো. মুহিবুল্লাহ জানান, গোপালগঞ্জ থেকে রাজীব পরিবহনের বাস করে খুবির এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিল। ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন বাস শ্রমিকরা। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী অন্যদের জানালে তারা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে অবস্থান নেন। সেখানে কথা কাটাকাটির জের ধরে পরিবহন শ্রমিকরা আবারও অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় খুবির ছাত্র আশিক, সিয়াম, জিসান আহমেদ, অরুপ বসু, হৃদয় ও শাহরিয়ার পারভেজ সাদ আহত হন। এ সময় দুইজন শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করা হয়।

এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় যান। একপর্যায়ে তারা শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হাওলাদার সানওয়ার মাসুম বলেন, রাজিব পরিবহনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র খুলনায় আসছিলেন। তাকে বসার ছিট দেননি পরিবহনের সদস্যরা। তাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে দিয়ে তাকে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাকে ছাড়িয়ে নিতে বাসস্ট্যান্ডে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের থামানোর সকল চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টায়) প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।