অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফি ভিডিও প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও প্রচারের অভিযোগে মো. এখলাছ আলী (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পাগার পাঠানপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, ‘ইন্টারপোলের ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট চিলড্রেন ইউনিটের’ একটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকাস্থ ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) মাধ্যমে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পারে। তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের একজন নাগরিক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে তৈরি, সংরক্ষণ ও প্রচার করে আসছিলেন।
সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম প্রযুক্তিগত সহায়তায় অভিযুক্তকে সনাক্ত করে। অভিযুক্ত এখলাছ আলী নাটোর জেলার লালপুর থানার কামারহাতি গ্রামের এসকেন আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের হোসেন ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিলস লিমিটেডে আইটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের পর্নোগ্রাফিক ভিডিও সংগ্রহ করতেন এবং তা মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ ও প্রচার করতেন। গত ১ জুন সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামির অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়, যার ভেতরে একাধিক শিশু পর্নোগ্রাফির ভিডিও পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত এখলাছ আলী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
তার বিরুদ্ধে সোমবার (২ জুন) পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।