সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শিশুর ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে কী হয়?

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

শিশুর ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে কী হয়?

শিশুকে ম্যাসাজ করা কেবল প্রশান্তিদায়ক নয়; এটি এমন একটি অভ্যাস যার শিকড় বিভিন্ন সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত। এর অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্য উপকারিতার বৈজ্ঞানিক প্রমাণও রয়েছে। অলিভ অয়েলের মতো প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার আপনার শিশুর ত্বককে পুষ্টি জোগাতে এবং সাধারণ সুস্থতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শিশুর শরীরে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে কী উপকারিতা পাওয়া যায়-

১. ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে

শিশুদের ত্বক এত সংবেদনশীল যে যত্ন সহকারে পরিচালনা করা প্রয়োজন। অলিভ অয়েল ভিটামিন ই এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ত্বককে গভীরভাবে আর্দ্রতা দেয় এবং শুষ্কতা দূর করে। নিয়মিত অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে শিশুর ত্বক নরম এবং কোমল থাকে যার ফলে ফুসকুড়ি এবং জ্বালা হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট কমে যায়।

২. সুস্থ বৃদ্ধি এবং বিকাশ

অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করলে রক্ত ​​সঞ্চালন উদ্দীপিত হয় এবং পেশীর স্বাস্থ্য উন্নত হয়, যা শিশুর শারীরিক বিকাশে অবদান রাখে। মৃদু স্ট্রোক পেশীগুলোকে শিথিল করতে, নমনীয়তা উন্নত করতে এবং হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, সুস্থ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
৩. প্রশান্তি দেয়

উষ্ণ অলিভ অয়েল ম্যাসাজ শিশুকে শিথিল করে এবং শিশুকে আরও ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। একটি প্রশান্তিদায়ক স্পর্শ অক্সিটোসিন নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে, যা ভালোবাসার হরমোন নামেও পরিচিত। যা মায়ের কাছ থেকে শিশুর সঙ্গে সুরক্ষা এবং বন্ধন নিশ্চিত করে।

৪. হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়

অলিভ অয়েল দিয়ে মৃদু পেট ম্যাসাজ গ্যাস, কোলিক এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সাধারণ হজম সমস্যার চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। এটি বৃত্তাকার গতিতে অন্ত্রের মাধ্যমে খাবারের সঠিক চলাচলে সহায়তা করে, যা পেট ফাঁপা এবং খিঁচুনির অস্বস্তি কমায়।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে

অলিভ অয়েল ম্যাসাজ রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায়, যা সারা শরীরে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উন্নত রক্ত ​​সঞ্চালন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, আপনার শিশুকে সুস্থ রাখে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।