সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শিশুদের রোজা রাখতে আগ্রহী করবেন যেভাবে

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসলামে রোজা রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে অনেক শিশুই ফরজ হওয়ার আগেই রোজা রাখতে আগ্রহী হয়।

কেউ নিজের শিশুকে প্রথমবারের মতো রমজানের রোজা রাখতে আগ্রহী করতে চাইলে কিছু টিপস মানতে পারেন, যা শিশুর জন্য রমজান আনন্দদায়ক করে তুলবে।

শিশুকে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী রোজার মূল বিষয়গুলো বোঝান, রোজা রাখার কারণ এবং সওয়াবের বিষটি বুঝিয়ে বলুন। রোজার শিষ্টাচার সম্পর্কে বুঝানোর চেষ্টা করুন, যেমন— ভালো আচরণ করা, অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করা, অতিরিক্ত কথা বলা বা গালিগালাজ করা থেকে বিরত থাকা, সময়মতো নামাজ পড়া ইত্যাদি।

সেহরি এবং ইফতারের গুরুত্ব সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।

দৈনন্দিন রুটিন ঠিক রেখে শিশুদের রমজানে আগ্রহী করতে কিছু টিপস দিয়েছেন দুবাইয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জাভেদ শাহ।

সেহরিতে সময়মতো উঠতে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে দিন। এর ফলে শিশুদের ঘুমের কোনো ঘাটতি হবে না। ক্লাসেও মনোযোগী হতে পারবে ঠিকমতো।
সেহরির খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর কিছু অবশ্যই রাখুন। সেহরিতে শক্ত খাবারের পাশাপাশি তাজা জুস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করতে দিন। এটি শিশুদের শরীর সারাদিন হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে।
সেহরির খাবারের জন্য তাড়াহুড়ো না করে নিশ্চিন্তে খেতে দিন। তাদের সঙ্গে আপনার প্রথম রোজা রাখার স্মৃতিচারণ করুন। এবং রমজানের পরিবেশ আনন্দদায়ক করে তুলুন।

রমজানের দিনগুলো তাদের জন্য আনন্দময় করে তুলুন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে নামাজ, ইবাদত পালনের পরিবেশ তৈরি করুন। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় দান, দরিদ্র শিশুদের খাওয়ানোর কাজে সময় কাটাতে দিন।
শক্তি ক্ষয় হয় এমন কাজ থেকে বিরত রাখুন।

খেজুর এবং পানির মাধ্যমে রোজা ভাঙার প্রতি উৎসাহিত করুন। ইফতারে ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুন, স্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত করে তুলুন।
সেহরি না রেখে ইফতার করতে দেওয়া যাবে না। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে এবং শিশুরা রোজার প্রতি আগ্রহ হারাতে পারে।