1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
শিক্ষিত মানুষ বাড়ছে, তবু কেন সমাজের ভাঙন "দিদারুল ইসলাম" - NEWSTVBANGLA
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঢাকায় রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে জুলাই বিপ্লব নতুনভাবে দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা যাবে না : চসিক মেয়র ‘হঠাৎ বিকট শব্দ, দৌড়ে গিয়ে দেখি বাড়ির ভেতরে আগুন আর কান্নাকাটি’ পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করার আহ্বান না ফেরার দেশে নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে ৭.৫ কোটি টাকার ভুয়া গল্প, আসলেই কি ঘটেছে বেলকুচিতে রাতের মধ্যে যেসব এলাকায় ঝড় হতে পারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামায় জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ললিপপ জনি কেরানীগঞ্জে এসি বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে

শিক্ষিত মানুষ বাড়ছে, তবু কেন সমাজের ভাঙন “দিদারুল ইসলাম”

প্রতিনিধি

নিউজ টিভি বাংলার চেয়ারম্যান ও জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার উপ-সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ দিদারুল ইসলাম স্যার বলছিলেন আমরা কথা গুলো মন দিয়ে শুনছিলাম তার কথা গুলো ছিলো এমন!
একসময় মানুষ পড়তে জানত না, লিখতে জানত না। সাইনবোর্ড, বিলবোর্ডে কী লেখা আছে, বোঝার ভাষা ছিল না। তবু মানুষের মনে ছিল না প্রতারণার এত ফন্দিফিকির। গরমের দিনে বড় গাছতলাটায় বিকেল হলেই পাটি বিছিয়ে সবাই জড়ো হয়ে কাঁথা সেলাই থেকে শুরু করে নানা গল্পে মাতিয়ে তুলত দখিনা বাতাসকে।

আবার শীতকালে দু-চার বাড়ির লোকজন এক জায়গায় জড়ো হয়ে সকালে রোদে বসে খাবার খেতে ভুলত না। কে কী রান্না করেছে, তা পরখ করতে একটু বিলম্বও হতো না। কেউ রাগ বা হিংসা অনুভবও করত না। লিখতে-পড়তে বুঝতে না পারা এসব মানুষ কতই–না সহজ-সরল ছিল। কেউ কাউকে ঠকানোর, কাউকে কষ্ট দেওয়ার মনোভাব পুষে রাখত না। স্বল্পশিক্ষিত ছেলেটি প্রেমিকাকে একনজর দেখে শুভ্র প্রেমে হারিয়ে যেত।
এখন মানুষ পড়তে শিখেছে, লিখতে শিখেছে! বইয়ের পাতা, খাতার পাতা ছেড়ে লিখতে শিখেছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, লিংকডইন, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক মাধ্যমে। বাংলিশ, ইংলিশ—সব রকমের লিখতে শিখে গিয়েছে।

সঙ্গে রপ্তও করে ফেলেছে একাধিক নারী বা পুরুষে কীভাবে আসক্ত থাকা যায়। এখন আর সেই অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত ছেলে বা মেয়েটির মতো একনজর প্রিয়কে দেখে শুভ্রতার প্রেমে হারিয়ে যাওয়ার লেশ নেই। সময় পাল্টেছে, যুগ পাল্টেছে। সহজেই মানুষকে সব রকম ফাঁদে ফেলার কৌশল রপ্ত করছে মানুষ। বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা।

বোধগম্য একজন মানুষ ছোট বাচ্চাদের দিয়ে শেখাচ্ছে অপরাধপ্রবণতা। বাচ্চারা জড়িয়ে পড়ছে নানা রকম অপকর্মে। তৈরি হচ্ছে কিশোর গ্যাং। একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে হয়ে গিয়েছে একক পরিবার। বলা হয়ে থাকে, এখন নাকি মানুষ এক-দুজনও এক ছাদের নিচে একসঙ্গে বসবাস করতে পারছে না। মা-বাবা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে ফেলে আসার ঘটনা অহরহ ঘটছে।

বাচ্চারা আজকাল খেলাধুলা ভুলেই গিয়েছে স্মার্টফোন ও গ্যাজেটের আসক্তিতে। অধিকাংশ মা-বাবাও কান্না থামাতে বা খাবার খাওয়াতে শিশুদের হাতে গ্যাজেট তুলে দিচ্ছেন।

দুর্নীতি, ধর্ষণ, অন্যের অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি ত্রাণ দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ না করা, ক্ষমতাধর ব্যক্তির পরিচয়ে নানা জায়গায় নানা সুবিধা হাসিল ইত্যাদি আজকাল সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিস্তার করছে। বিয়েকে কঠিন করায় বাড়ছে অবৈধ সম্পর্ক।

সেখান থেকে ঘটছে অপহরণ, ধর্ষণ, আত্মহত্যা, খুন ইত্যাদি জঘন্য ঘটনা। কৃষক, শ্রমিক, মজুর পাচ্ছেন না ন্যায্য মূল্য। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সিন্ডিকেটের জাঁতাকলে পিষ্ট আজ সমাজ।

অনেকে এগুলোর পেছনের কারণ হিসেবে শিক্ষাকে দায়ী করে থাকেন। তাঁরা ধারণা পোষণ করেন, মানুষ যত শিক্ষিত হচ্ছে, তত ছলচাতুরী আর প্রতারণা শিখছে। আসলে কি শিক্ষাই দায়ী আজকের এই সমাজের মানুষের নানা প্রতারণার কৌশল রপ্ত করা ও সমাজভাঙনের এই নির্মম বাস্তবতার জন্য? না, শিক্ষা নয়, বরং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, নীতিনৈতিকতার অভাবের কারণে আজ সমাজে নানা অসুখের তীব্রতা বেড়েছে। যে অসুখে সমাজ, জাতি, দেশ পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। সমাজের কোথাও কেউ আজ ভালো নেই।

ভালো নেই আমাদের বাবা-মায়েরা। সন্তানকে বাইরে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন না তারা। সমাজের এই ভাঙন দূর করতে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই। বাড়াতে হবে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা।

সব ধর্মেই ভালো কাজের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মূল্যবোধের অবক্ষয় দূর করতে সভা ও সেমিনার করতে হবে, বাড়াতে হবে সচেতনতা। যোগ্য ও সৎ লোককে দায়িত্বশীল স্থানে বসাতে হবে। তবেই সমাজভাঙনের এই তীব্র অসুখ দূর করা সম্ভব হবে। অন্যথায় সমাজে অপকর্মের হার বেড়েই চলবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট