বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ জহিরুল ইসলাম রাসেলের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন দুপুরে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে জহিরুল ইসলাম রাসেলের বাড়িতে যান তিনি।
শহীদ জহিরুল ইসলাম রাসেল ওই গ্রামের মৃত শাহ আলম সরকারের একমাত্র ছেলে।
জানা গেছে, রাসেলের সাড়ে তিন বছরের কন্যাশিশু ঝুমাকে কোলে নিয়ে বেশ কিছু সময় তাদের বাড়িতে বসে থাকেন হাসনাত। রাসেলের মা মোর্শেদা বেগম ও স্ত্রী জান্নাত ফেরদৌসকে সমবেদনা জানান। পরে নানা বিষয়ে কথা বলার পর পরিবারের হাতে নগদ অর্থ সাহায্য তুলে দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
রাসেলের মা মোর্শেদা বেগম বলেন, রাসেলের ছোট্ট মেয়ে ঝুমা এখনো অপেক্ষায় আছে তার বাবা ফিরে আসবে, তার জন্য ঈদের নতুন জামা নিয়ে আসবে, সেই জামা পরে সে বাবার সঙ্গে ঈদগাহে যাবে। অথচ অবুঝ ঝুমা জানে না যে, তার এই অপেক্ষার প্রহর ফুরাবার নয়। কথাগুলো বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাসেলের মা।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর গুলিস্তানে একটি জুতার কারখানার কাজ করতেন জহিরুল ইসলাম রাসেল (৩২)। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। এরপর অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে রাসেলের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী আর ছোট্ট মেয়ে ঝুমা। রাসেল না থাকায় ঈদের আনন্দও নেই পরিবারটিতে।
এর আগে হাসনাত আব্দুল্লাহ তার নিজ গ্রাম গোপালনগরে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ঈদগাহের পাশে গোপালনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে কবর জিয়ারত ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নামাজের পূর্বে হাসনাত আব্দুল্লাহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন।