১০০ শয্যাবিশিষ্ট লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সাত দালালকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের হয়রানি ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে তাদের নিয়ে আর্থিক লাভবান হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আটকরা হলেন- মোহাম্মদ ফেরদৌস, মো. দুলাল, মাহবুবুল আলম লিটন, রোজিনা আক্তার, নাজমা আক্তার, কবির হোসেন ও মো. সোহেল। এদের মধ্যে ফেরদৌস লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকার তাজুল হক খন্দকারের ছেলে, দুলাল লামচরী এলাকার মো. সিরাজের ছেলে, লিটন রায়পুরের চরপাতা গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে, রোজিনা চরলক্ষ্মী গ্রামের ফারুকের স্ত্রী, নাজমা সদরের লাহারকান্দি গ্রামের খোকনের স্ত্রী, কবির লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ও সোহেল সদর উপজেলার খিলবাইছা গ্রামের নান্টু মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয়। তারা কৌশলী কথাবার্তা বলে রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। এতে রোগী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা লাভবান হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এনএসআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ হাসপাতালে যৌথ অভিযান চালিয়ে সাত দালালকে আটক করে।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, সিভিল সার্জনের সঙ্গে আমাদের সভা ছিল। এজন্য অভিযানের সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম না। পরে অভিযানের বিষয়ে খবর পেয়েছি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, আটক দালালদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।