লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের দায়ে ১৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৭০০ কেজি মাছ, ৪টি নৌকা ও ৩০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪টি মামলায় তাদের ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুর্য সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলাধীন মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাছসহ ১৬ জেলেকে আটক করা হয়।
মৎস্য বিভাগ জানায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এতে জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। একইসঙ্গে ইলিশ ক্রয়, বিক্রয়, পরিবহন ও মজুতও নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল, জরিমানা ও উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কমলনগর উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড রোববার রাতে নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ১৭০০ কেজি মাছসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪টি মাছ ধরার নৌকা ও ৩০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। কারেন্টজাল জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানা, দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪টি মামলায় আটক জেলেদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুর্য সাহা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানার পর আটক জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের নৌকাগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে। জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।