1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
র‌্যাবের অভিযানে ৭ দিনের অপহৃত নবজাতক উদ্ধার, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার - NEWSTVBANGLA
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঢাকায় রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে জুলাই বিপ্লব নতুনভাবে দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা যাবে না : চসিক মেয়র ‘হঠাৎ বিকট শব্দ, দৌড়ে গিয়ে দেখি বাড়ির ভেতরে আগুন আর কান্নাকাটি’ পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করার আহ্বান না ফেরার দেশে নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে ৭.৫ কোটি টাকার ভুয়া গল্প, আসলেই কি ঘটেছে বেলকুচিতে রাতের মধ্যে যেসব এলাকায় ঝড় হতে পারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামায় জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ললিপপ জনি কেরানীগঞ্জে এসি বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে

র‌্যাবের অভিযানে ৭ দিনের অপহৃত নবজাতক উদ্ধার, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি

আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাভার (ঢাকা):  ঢাকার ধামরাইয়ে ৭ দিনের নবজাতককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার (০৪ মার্চ) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এর আগে, শুক্রবার (০৩ মার্চ) রাতে যশোরের অভয়নগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এর একটি দল। এ সময় অপহৃত নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার অপহরণকারী দম্পতি হলেন- খুলনার দিঘলীয়া এলাকার মো. রুবেল শেখ (৩৫) ও তার স্ত্রী তানিয়া আফরোজ (২৩)। রুবেল খুলনার একটি বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে জীবিকার তাগিদে ৭/৮ বছর পূর্বে রাজধানী ঢাকায় আসেন। সে পেশায় একজন গার্মেন্টসকর্মী হলেও পাশাপাশি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। এছাড়া গ্রেপ্তার তানিয়া আফরোজ একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। গত ৩ বছর পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত রুবেল তানিয়ার পরিবারের অমতে তানিয়াকে বিবাহ করে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা এলাকায় বসবাস করতে থাকে।

গ্রেপ্তার দম্পতি।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পাওনাদারদের ধার পরিশোধের চাপে পড়ে পরিচিত পরিবার থেকে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেই নবজাতককে অপহরণ করেন এ দম্পতি। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী মিলি আক্তার কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। ঢুলিভিটা বাজারের পাশে থাকার কারণে একই এলাকার ভাড়াটিয়া রুবেল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেপ্তার রুবেল মিলি আক্তারকে ফুফু বলে ডাকতেন।

তিনি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রুবেল ও তার স্ত্রী ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় আসেন। ভুক্তভোগী অসুস্থ থাকায় ৭ দিনের নবজাতককে রুবেল ও তার স্ত্রীর কাছে রেখে ওষুধ কিনতে বাইরে যান। ২০ মিনিট পর বাসায় ফিরে মিলি আক্তার রুবেল ও তার স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

পরবর্তীতে ঢুলিভিটা বাজার কমিটির সহায়তায় রুবেলের বাসার ঠিকানা নিয়ে বাসায় গেলে বাসা তালা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া রুবেলের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে রুবেল মোবাইল ফোন চালু করলে প্রথমে নবজাতককে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে পুনরায় ফোন বন্ধ করে দেন। ১ মার্চ রুবেল অন্য একটি নম্বর দিয়ে ভুক্তভোগী মিলি আক্তারকে ফোন করে জানায় নবজাতক ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ লাগবে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে নবজাতককে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় রুবেল।

ভুক্তভোগী মিলি আক্তার তার নবজাতক শিশুকে ফিরে পেতে র‌্যাব-৪ এর সহায়তা চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। র‌্যাব অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন আমতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী দম্পতি মো. রুবেল শেখ (৩৫) ও তানিয়া আফরোজকে (২৩) গ্রেপ্তার করে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত ৭ দিনের নবজাতককে।

ভুক্তভোগী নবজাতকের মা।

নবজাতক শিশু অপহরণের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি জানায়, ২-৩ মাস যাবত ঢুলিভিটা বাজার এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন তারা। বিভিন্ন দোকান ও মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ করতে পারছিল না রুবেল। পাওনাদাররা ধার পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকায় সে ঢুলিভিটা এলাকা থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকায় কৌশলে নবজাতককে অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তারা ভুক্তভোগীর বাসায় যায়। ভুক্তভোগী ওষুধ আনতে বাইরে গেলে তারা সুযোগ বুঝে নবজাতক শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

তারা ধামরাই থেকে প্রথমে বাসযোগে খুলনায় যায়। সেখানে আত্মগোপনের জন্য তারা সুবিধামত ভাড়া বাসা খুঁজতে থাকে। পরবর্তীতে খুলনার অদূরে রূপসা নদীর অপর পাশে যশোরের আমতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় উঠে। গ্রেপ্তাররা বিভিন্নভাবে শিশুটির মাকে মুক্তিপণের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। মায়ের অনুপস্থিতিতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, মুক্তিপণ না পেলে শিশুটিকে গোপনে রূপসা নদীতে ফেলে দিয়ে আত্মগোপন করবে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট