শুক্রবার , ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

রাবিতে শিবির নেতা নোমানী হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যার প্রতিবাদ এবং খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জোহর নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিনোদনপুর বাজারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে রাবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ নোমানী ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদের অন্যতম ছিলেন তৎকালীন ভিসি আব্দুস সোবহান, প্রক্টর চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং ছাত্র উপদেষ্টা (সাবেক ভিসি) গোলাম সাব্বির সাত্তার। নোমানী ভাইয়ের হত্যার পুরস্কার স্বরূপ তাদেরকে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা দেখেছি নোমানী হত্যা মামলা আদালত খারিজ করে দিয়েছিল। প্রশাসন যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা রিনিউ না করে তাহলে আমরা আইন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নামবো।

রাবি ছাত্রশিবির সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুজ্জামান বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল ও ভারতের তাঁবেদারি করার জন্য লিয়াজু করে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এই দেশে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য তারা প্রথমে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে টার্গেট করে। দেশের মেধাবী ছাত্রনেতাদের হত্যা করেছে, দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে, শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। স্বৈরাচার সরকার পতন হওয়ার ৭ মাসে পার হলেও এখনো কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না।

রাবি ছাত্রশিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নকশা তৈরি করে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবির সেক্রেটারি নোমানী ভাইকে হত্যা করে। নোমানী ভাইকে হত্যা করার পর আমরা দমে যাইনি বরং আমরা দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে এ ময়দানে ফিরে এসেছি। যে ছাত্রলীগ আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল আজকে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইসলামের প্রতি ভালোবাসাকে কেউ কখনো দমাতে পারবে না এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নোমানী ভাইকে হত্যার করার পর আমরা জানিয়ে দিয়েছি ‘উহারা চাহুক দাসের জীবন, আমরা শহীদি দরজা চাই; নিত্য মৃত্যুতে ভীত ওরা, মোরা মৃত্যু কোথায় খুঁজে বেড়াই’