চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ও ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার’ অংশ হিসেবে রাজবাড়ীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভার মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে। ইতোমধ্যেই মঞ্চে স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য দিচ্ছেন। বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা সভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের ১নং রেলগেটের শহীদ স্মৃতি চত্বরের সামনে সভাস্থলে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে সভাস্থলে আসছেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সভাস্থলের আশপাশের পুলিশের কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। সভাস্থল থেকে স্থানীয় নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম ঘোষণা করছেন। বিকেল ৪টায় এনসিপির নেতাকর্মীদের রাজবাড়ীতে আসার কথা রয়েছে। তারা পদযাত্রা করে পথসভায় বক্তব্য দেবেন।

জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, আজকে যেসব জুলাই যোদ্ধারা রাজবাড়ীতে আসবেন তাদের আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানাবো। গতকাল গোপালগঞ্জে আমাদের বিপ্লবী যোদ্ধাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছিল, এর প্রতিবাদে আমরা গতকাল কর্মসূচি পালন করেছিলাম। গতকালের মতো আজকে যেন কোনো ঘটনা না ঘটে এজন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করছি, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।

জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজবাড়ী জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সাইয়েদ জামিল বলেন, আজকের পদযাত্রার শতভাগ প্রস্তুতি আমাদের সম্পূর্ণ হয়েছে। মঞ্চের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এনসিপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে। গতকাল যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা গোপালগঞ্জে ঘটেছিল ওই ঘটনার পর প্রোগ্রাম হবে কি হবে না এটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের জুলাই পদযাত্রাকে ঘিরে সেন্ট্রাল প্রোগ্রামগুলো সেটা বন্ধ হবে না। আজ নের্তবৃন্দরা ফরিদপুর প্রোগ্রাম শেষ করে রাজবাড়ীতে যাবেন। রাজবাড়ী থেকে সন্ধ্যার আগেই তারা মানিকগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হবেন। রাজবাড়ীর প্রোগ্রামকে ঘিরে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো রয়েছে। রাজবাড়ীতে অন্যান্য যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে এখানে এক ধরনের সহাবস্থানের বিষয়টা আছে। আমরা কোনো ধরনের ঝুঁকি অনুভব করছি না।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরের যানজট নিরসনের জন্য ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।