রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

রাজধানীর পল্লবী থানার আশপাশেই সন্ত্রাসী দুপক্ষের গুলাগুলি, এলাকায় আতংক!

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

রাজধানীর পল্লবী থানাধীন সবুজ বাংলা আবাসিক এলাকায়  শনিবার (৩ আগস্ট) রাত পৌনে একটার দিকে পাতা গ্রুপের লিডার পাতা সোহেল (মদ ও মাদক ব্যবসায়ী) এবং কিশোর গ্যাং লিডার, সন্ত্রাসী, মিরপুরের কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান ও অস্ত্র ব্যবসায়ী (আশিক) বাহিনীর মধ্যে ও সন্ত্রাসী পাতা সোহেলের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ৫ আগস্ট পল্লবী থানা ও মিরপুর মডেল থানায় হামলা ও লুটের সময় চুরি হওয়া বেশ কিছু অস্ত্র এখনো আশিক বাহিনীর দখলে রয়েছে। সেই অস্ত্র পাতা সোহেলকে আশিক এর থেকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে আশিক থেকে কিনার অফার করে, আশিক না দেওয়ার কারণে তার জন্য ২ আগস্ট রাত ১২ – ঘটিকা দিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথা কাটাকাটি হয়। এতে আশিক সোহেলকে বলে “আমি অস্ত্র দিব না পারলে বাল ফালাইস” তারপর ৩ আগস্ট রাত পৌনে একটায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে গুলাগুলি হয়।

আধিপত্যের লড়াইয়ে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী পাতা সোহেল এবং মিরপুরের কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান, অস্ত্র ব্যবসায়ী আশিক দুই গ্রুপ পাল্টা গোলাগুলি ছোড়ে আশিক বাহিনীর সদস্যরাও। মুহূর্তেই পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ঘটনার পর সাংবাদিকরা পল্লবী থানা পুলিশকে অবহিত করলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার বলেন, “আপনার কাছে শুনলাম, এখনই ফোর্স পাঠাচ্ছি।” এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব মাত্র কয়েক মিনিটের হলেও সংঘর্ষ ও গুলাগুলির সময় পুলিশের কোনো উপস্থিতি ছিল না।

পল্লবীর মিল্লাত ক্যাম্প, বাইশতলা গার্মেন্টসের পেছন, বাউনিয়াবাধ, কলাবাগান বস্তি, আদর্শ নগর, মুরগী পট্টি, পোড়া বস্তি, টেকেরবাড়ী,এভিনিউ ৫ . বাইগেরবটেক, ১২ নম্বর ডি-ব্লক, ধ-ব্লক, সি-ব্লক, কালসী বস্তি, কালাপানি বস্তি, রাজুর বস্তিসহ প্রায় প্রতিটি এলাকায় বিগত ৫ আগস্টের পর থেকে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, গুলাগুলি এবং খুনোখুনির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবার ঘটনার পর পুলিশ আসে, কিন্তু আগাম কোনো অভিযান কিংবা সন্ত্রাসীদের দমন ও গ্রেপ্তার কার্যক্রম নেই। এভাবে চলতে থাকলে পল্লবী থানার আশপাশ এলাকা দ্রুতই রাজধানীর সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।

ঘটনার বিষয়ে পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাচ্চু জানায়, গুলাগুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই-তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলাকাবাসীর দাবি, কেবল ঘটনার পরে অভিযান নয়, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আগেই গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে তারা যেন বারবার এলাকায় ফিরে এসে সন্ত্রাস চালাতে না পারে, সেই বিষয়ে রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নজরদারি ও কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।