রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার সাথে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে প্রস্তুত। এরপরই যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে রাশিয়ার কোর্টে বল পাঠালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ‘এখন রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে’। এমনকি চুক্তিতে রাজি না হলে রাশিয়ার ওপর ‘বিধ্বংসী’ অর্থনৈতিক শাস্তি আরোপেরও হুমকি দিয়েছেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
স্থানীয় সময় বুধবার হোয়াইট হাউসে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনকে আতিথ্য দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “এখন এটি (যুদ্ধবিরতি) রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে, তবে উভয় পক্ষের সাথেই আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা বিষয়টি দেখব। আমরা যখন এই কথা বলছি তখন মার্কিন প্রতিনিধিরা (আলোচনার জন্য) এখন রাশিয়ায় যাচ্ছে। এবং আশা করি, আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিরতির সম্মতি আদায় করতে পারব। এবং যদি আমরা তা করতে পারি, তাহলে আমি মনে করি এই ভয়াবহ রক্তপাতের অবসান ঘটানোর জন্য ৮০ শতাংশ পথ পাড়ি দেওয়া হবে।”
অবশ্য বিপরীত কিছু হলে আগাম হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যদি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে রাশিয়ার ওপর “বিধ্বংসী” অর্থনৈতিক শাস্তি আরোপ করা হবে।
মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “এমন কিছু কাজ আছে যা আপনি করতে পারেন যা আর্থিক দিক থেকে সুখকর হবে না। আমি এমন কিছু করতে পারি যা আর্থিকভাবে রাশিয়ার জন্য খুবই খারাপ হবে। আমি তা করতে চাই না, কারণ আমি শান্তি পেতে চাই। আমরা হয়তো কিছু করার কাছাকাছি চলে আসছি।”
এর আগে গত মঙ্গলবার সৌদি আরবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদলের সাথে আলোচনার পর ইউক্রেন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। এটাকে ট্রাম্প “সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি” বলে উল্লেখ করেছেন।
মার্কিন-ইউক্রেন বৈঠকের পর জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে (কিয়েভের জন্য) কোনও ধরনের “নিরাপত্তা গ্যারান্টি” বাদ দেওয়া হয়েছে। মূলত নিরাপত্তা গ্যারান্টি বলতে রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তবে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি চাওয়া হয়েছিল।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গভীর রাতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বৈঠকের সময় এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবে।