রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মেসির ইংরেজি বলা নিয়ে মজার স্মৃতি জানালেন সতীর্থ

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪

ক্লাব ফুটবলের জনপ্রিয়তার যুগে নির্দিষ্ট দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকেন না তারকা ফুটবলাররা। তবে যে দেশের ক্লাবেই খেলুক না কেন, তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বললেও তাতে কোনো সমস্যা হয় না। আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনল মেসিও রোজারিও থেকে বার্সেলোনা, পিএসজি ও ইন্টার মায়ামিতে লগ্নি করলেও, তার মুখের ভাষা ছিল একই ‘স্প্যানিশ’। তবে প্রয়োজনে টুকটাক ইংরেজি যে বলেননি তা–ও নয়, তেমনই একটি মজার ঘটনা জানালেন মেসির মায়ামি সতীর্থ জুলিয়ান গ্রেসেল।

বিশ্বকাপজয়ী আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক ইংরেজি পুরোপুরিই বোঝেন, যদিও ‘বিব্রতকর পরিস্থিতি’ এড়াতে ওই ভাষায় তাকে তেমন কথা বলতে দেখা যায় না। কারণ ফুটবলারদের জন্য প্রায় প্রতিটি ক্লাবই দোভাষী রাখে, ভিন্ন ভিন্ন ভাষার খেলোয়াড়রা ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করলেও তাই কোনো অসুবিধা হয় না। তাই বহুভাষীর ভূমিকা নিতে হয় না আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মেসিকেও।

স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ও ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি দিয়ে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন মেসি। বর্তমানে তিনি আমেরিকান সকার ফুটবলে (এমএলএস) খেলছেন মায়ামির হয়ে। ফ্লোরিডার ক্লাবটিতেও ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা কথা বলেন মাতৃভাষা স্প্যানিশে। সেখানে আরও বেশ কয়েকজন তারকাও ওই ভাষাতেই কথা বলেন। তবে সম্প্রতি একটি প্রোমোশনাল ভিডিওতে অংশ নিয়ে ‘ব্যাড বয়েজ’ সিনেমায় করা হলিউড তারকা উইল স্মিথের সুরে ইংরেজিতে কথা বলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মাঠেও নাকি তিনি ইংরেজিতে সতীর্থদের সঙ্গে মজা করেন।

সেই সূত্র ধরেই ওঠে আসে মেসির ইংরেজিতে কথা বলার প্রসঙ্গ। মায়ামিতে তার সতীর্থ জুলিয়ান গ্রেসেল সেই রেশ ধরে জানিয়েছেন মজার অভিজ্ঞতা। আমেরিকান এই ফুটবল তারকা বলেন, ‘মেসি সাধারণত আমার সঙ্গে খুব বেশি কথা বলে না, টুকটাক বললেও সেটি থাকে স্প্যানিশে। আমি সেই ভাষা প্রায় পুরোপুরিই বুঝি। একবার সে আমার কাছে এসে ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করল, যা ছিল ম্যাচ চলাকালে তার বলা প্রথম কোনো ইংরেজি বাক্য। সেটি ছিল খুবই মজার, কারণ এরপরই সে নিজ থেকে বলে ‘‘(আমার) ইংরেজি বেশ ভালো, তাই না?’’’