গত সোমবার চলতি বছরের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২২ ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর থাকবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে এই প্রথমবার বাদ পড়েছেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারির পর কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিতে বিসিবিকে অনুরোধ জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ফলে ১ মার্চ থেকে তিনি নতুন এই চুক্তির বাইরে চলে যাবেন। সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের যাত্রা শেষ হতেই প্রশ্ন জেগেছে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের অবসর নিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই মাহমুদউল্লাহ নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। আরও আগেই তিনি অবসর নিয়েছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে। বাকি শুধু ওয়ানডে সংস্করণ।
আজ (বুধবার) নারী ডিপিএল শেষে পুরস্কার প্রদানের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম। সেখানেই তিনি মাহমুদউল্লাহ’র কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকার বিষয়ে কথা বলেছেন।
নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানান, ‘যেহেতু সেন্ট্রাল কন্টাক্টে না থাকার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে (মাহমুদউল্লাহ)। এ থেকে বোঝা যায় সে এসব (অবসর) নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। আমার মনে হয় চিন্তা ভাবনার একটা সলিড জায়গায় আসলে এটা নিয়ে আমরা আলাপ করতে পারব। মিডিয়াতেও নিয়ে আসতে পারব পরে। তখনই স্পেসিফিক কিছু (আনুষ্ঠানিক বিদায়ের) প্লান-প্রোগ্রাম আমরা প্রকাশ করতে পারব।’
সম্প্রতি তিনি ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল। মূলত টেস্ট ও ওয়ানডে খেলবেন সেটা ধরেই নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল মুশফিকের। ওয়ানডেকে বিদায় বলে দেওয়ায় তার সামনে এখন শুধুমাত্র টেস্টই বাকি। তাই ১ মার্চ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে যাবেন মুশফিক। এবারের কেন্দ্রীয় চুক্তির সর্বোচ্চ ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন কেবল তাসকিন আহমেদ। তার মাসিক বেতনের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা।