মালদ্বীপকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিয়ে রাখল সিঙ্গাপুর
১০ জুনের ম্যাচের আগে বাংলাদেশ আর সিঙ্গাপুর দুই দলই ব্যস্ত ছিল প্রীতি ম্যাচকে নিয়ে। বাংলাদেশ দলের ম্যাচ ছিল ভুটানের বিপক্ষে। আর সিঙ্গাপুর খেলেছে মালদ্বীপের বিপক্ষে। মালদ্বীপ বাংলাদেশের চেনা প্রতিপক্ষ। শেষ কয়েক ম্যাচে দুই দলের জয়-পরাজয়ের হিসেব প্রায় সমানই বলা চলে। মালদ্বীপ ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশকে চেনার প্রচেষ্টা নেহাত মন্দ না।
আর সেই ম্যাচটা শেষ করে বাংলাদেশকে একটা বার্তাও দিয়ে রেখেছে সিঙ্গাপুর। ঘরের মাঠে তারা দ্বীপরাষ্ট্রটিকে হারিয়েছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্দি পেয়েছেন দুই গোল। আরেক গোল এসেছে আমিরুল আদলির পা থেকে। মালদ্বীপের হয়ে আহমেদ রিজুভান গোল শোধ করেছেন পেনাল্টিতে।
ম্যাচের শুরুটাই দুর্দান্ত ছিল সিঙ্গাপুরের। প্রথম ৩২ মিনিটেই আসে ৩ গোল। আলাদা করে বলতে হয় ইখসান ফান্দির কথা। সেট পিস থেকে দুই হেডে করেছেন গোল। প্রথমটা এসেছে কর্নার থেকে। আর পরেরটা ফ্রিকিক থেকে। দুইবারেই ফান্দির পজিশনিং সেন্স ছিল প্রশ্নাতীত।
বাংলাদেশের স্বভাবজাত দূর্বলতা আছে সেটপিস নিয়ে। ফান্দিকে নিয়ে তাই বিশেষ ভাবনা থাকবে সিঙ্গাপুর ম্যাচে। দুই উইং ব্যবহার করে সিঙ্গাপুর বারবারই নাস্তানাবুদ করেছে মালদ্বীপকে। ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দুই ফুলব্যাককে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে সেটা বলা চলে অনায়াসে।
তবে মাঝমাঠে কিছুটা শূন্যতা দেখা গিয়েছে সিঙ্গাপুরের খেলায়। দ্বিতীয়ার্ধে সেটারই সুযোগ নিয়ে বারবার বিপদের হুমকি দিয়েছিল মালদ্বীপ।
কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা এবং স্বার্থপর কিছু ড্রিবলের কারণে গোল পায়নি মালদ্বীপও। অবশ্য ম্যাচের একেবারে শেষে পেনাল্টি পায় তারা। রিজুভান তাতে গোল করে ব্যবধান কমান। এতে অবশ্য হার এড়াতে পারেনি মালদ্বীপ। বাংলাদেশকেও বড় একটা বার্তা দিয়েছে সিঙ্গাপুর।