নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গিয়ে শিক্ষক দম্পতি লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক) ডা. মিজানুর রহমান। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাসনিম হোসেন আরিফ এবং চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. জয়নাল আবেদীন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষক দম্পতির অভিযোগ, ১ আগস্ট (শুক্রবার) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকের নির্দেশে কয়েকজন কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবক তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও লাঞ্ছনা করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সচালক ইমন, স্বেচ্ছাসেবক বাপ্পি নাগ ও নাজমুল হক এবং নৈশপ্রহরী সোহেল রানা। অভিযোগের মধ্যে বলা হয়েছে, এই দুর্ব্যবহার ও লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিফাত বিনতে জান্নাতের নির্দেশনায়।
লাঞ্ছিত শিক্ষক দম্পতির মধ্যে একজন, ফতেপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক তাজিবুল হক বলেন, “এই তদন্ত কমিটির সব সদস্যই একই হাসপাতালের কর্মী, যার ফলে নিরপেক্ষতা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। যদি কমিটিতে উপজেলা অন্য কোনো দপ্তরের কর্মকর্তা থাকতেন, তাহলে তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়ত। তবে, আমরা আশা করছি সিসিটিভি ফুটেজ ও ভাইরাল হওয়া ভিডিও বিশ্লেষণ করে সঠিক প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।”
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. মিজানুর রহমান জানান, “আমরা ইতোমধ্যে কয়েকজনের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেছি এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান। সব দিক বিবেচনা করে আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষক দম্পতির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”