নওগাঁর মান্দায় রাস্তা থেকে তুলে এনে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ৪ নং আসামী আবুল কাসেম নামে এক জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নের কালীগ্রাম গ্রামের নিজ বাড়িতে মাদক সেবন করাবস্থায় আটক করে পুলিশ। এরপর শনিবার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয় তাকে।
আটককৃত আবুল কাসেম ওরফে রশিদ (৪৫) কালীগ্রাম গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে। অপরদিকে আহত জাহাঙ্গীর আলম বাবলু কালিগ্রাম উত্তরপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আহত জাহাঙ্গীর আলম বাবলু’র ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিকার চেয়ে শুক্রবার রাতে ১০ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তার মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ৪ নং আসামী আবুল কাসেম নামে এক জনকে আটক করা হয়েছে। এরপর শনিবার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়াও অন্যান্যদেরকেও আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে দোডাঙ্গী চারমাথার মোড় এলাকায় সবজি ক্ষেতে লাল শাক তুলতে গেছিলেন কালিগ্রাম উত্তরপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আহত জাহাঙ্গীর আলম বাবলু। লাল শাক তুলে এনে সেগুলো দেলুয়াবাড়ি বাজারে বিক্রি করতে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সবজি ক্ষেতে যাওয়ার পর তার বাবা দেখেন যে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের কবলাকৃত জমি জবর দখল করে পানি সেচ দিয়ে হালচাষ করছেন।
এসময় প্রতিপক্ষের লোকজনকে নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা কর্নপাত না করায়,বাধ্য হয়ে তিনি ওই জমির মূল মালিক ছোটমুল্লুক গ্রামের নূর নবীর স্ত্রী সোনাভান (বাবার ফুফা শাশুড়ি) কে ডাকতে যাওয়ার পথে দোডাঙ্গী চারমাথার মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বের এলাকার রাস্তা থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে তুলে (গমের জমিতে) এনে লোহার রড,সাবল এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় প্রতিপক্ষের সাদেকুল,আইজুল,রহিদুল,খালেদ (সোনাভানের ভাতিজা) গং । এরপর তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। অপরদিকে নিজেদের আত্মরক্ষার্থে নিজ বাড়িতে অগ্নিকান্ডের নাটক সাজায় প্রতিপক্ষের লোকজন।