ভিড়-কোলাহল তবুও ঘরে ফেরার যাত্রায় নেই অভিযোগ
পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঈদযাত্রার প্রথম দিনে একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। এসব উপেক্ষা করেও ঘরে ফিরছেন তারা। কোলাহল আর ভিড় থাকলেও অভিযোগ নেই তাদের।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্টেশনে তিন স্তরের চেকিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টিকিটবিহীন কেউ যেন স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেল পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্ট্যান্ডিং টিকিটের অপেক্ষায় থাকা রসুল মিয়া বলেন, অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি। টিকিট পাচ্ছি না। একটু পর পাবো মনে হয়। ঝামেলা নেই। বাড়ি ফিরতে পারলেই খুশি।
মোহনগঞ্জগামী ট্রেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে যাবেন হাফিজুর রহমান। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গত ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। তাই এবার ঈদের এক সপ্তাহ আগে রওনা দিলাম। এখন অবশ্য গাড়িতে যাত্রীর চাপও কম। সবমিলিয়ে খুব স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হবে এবার।
চাপাইনবাবগঞ্জগামী বনলতা এক্সপ্রেসের যাত্রী রাদিয়া জান্নাতুল বলেন, পুরো এক বছর পর দাদুর বাড়িতে যাচ্ছি। সেখানে আমার চাচাতো ও ফুফাতো ভাই-বোনসহ অনেক আত্নীয় আছে। গ্রামে যাওয়ার মজাই আলাদা। সময় পাই না বলেই সবসময় যেতে পারি না। গ্রাম আমার খুব ভালো লাগে। নিজেদের বাগানের আম পাড়বো৷ পুকুরে গোসল করবো। দারুণ সময় কাটবে। গ্রামের ঈদ মানেই স্পেশাল কিছু।
চট্রলা এক্সপ্রেসে গ্রামে যাচ্ছেন নাসিম আহমেদ। তিনি বলেন, ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা আর এসাইনমেন্টে জীবন শেষ হয়ে যায়। মাকে আর দেখা হয় না। মা অসুস্থ থাকায় আসতেও পারেন না ঢাকায়। ঢাকায় আত্নীয় নেই। থাকার জায়গারও সমস্যা আছে। তবে এবার ঝামেলাহীনভাবে গ্রামে যেতে পারবো মনে হচ্ছে। একটু আগে ভাগেই গ্রামে যাচ্ছি। গরু কিনতে হবে। চাপাতি আর খাটিয়া কিনতে হবে। সব মিলিয়ে ভালোই কাজ আছে গ্রামে।
তিনি আরও বলেন, ট্রেন ছাড়ার দেরি আছে। তবে আগে চলে আসছি। গ্রামে যাচ্ছি অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে।