বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে ফারুক আহমেদের অপসারণ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথিকা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। বিসিবির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান, ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম ও ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান বলেন, রুল জারির পাশাপাশি আদালত বিসিবিতে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দায়িত্ব পালনের ওপর স্ট্যাটাসকে (স্থিতাবস্থা) দিয়েছেন।
স্থিতিবস্থার ব্যাখ্যায় বিসিবির আইনজীবীরা বলেন, বিসিবিতে বর্তমানে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব পালন অব্যাহত থাকবে।
গত ১ জুন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কর্তৃক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে এনএসসি কর্তৃক জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নতুন বিসিবি সভাপতি হিসেবে নিয়োগের বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়। যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ পাঁচজনকে রিটে বিবাদীকে করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে। পরদিন ৩০ মে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এই দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ রিটটি করেন।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিসিবির সাবেক পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের জায়গায় ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীনকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয়। পরে বোর্ড সভায় পরিচালকদের ভোটে ফারুক আহমেদ সভাপতি নির্বাচিত হন।