1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
বিমানের যাত্রীরা ইফতার করবেন যেভাবে ? - NEWSTVBANGLA
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন

বিমানের যাত্রীরা ইফতার করবেন যেভাবে ?

প্রতিনিধি

প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষ ও নারীর জন্য রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থতা, নারীদের জন্য গর্ভধারণ, শিশুদের দুগ্ধ পান, পিরিয়ড এবং সফরের কারণে রোজা না রাখার বিধান দেওয়া হয়েছে।

কেউ সফরে থাকলে তার জন্য রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ; তার জন্য সিয়াম পালন করা কষ্টকর হোক অথবা না হোক। তবে মুসাফিরের জন্য সিয়াম পালন করা কষ্টকর না হলে তার জন্য রোজা পালন করা উত্তম। আর কষ্টকর হলে তার জন্য রোজা ভঙ্গ করা উত্তম। রমজান মাসে কেউ দেশের সীমানার মধ্যে বিমানে সফর করলে সাধারণত তিনি দেশের নিয়ম এবং সময় অনুযায়ী ইফতার করে নেন ।

তবে রমজানে দেশের সীমানার বাইরে অন্য কোথাও বিমানে সফর করলে ইফতারের সময় নিয়ে বেশ দ্বিধাগ্রস্ত পড়তে হয়। কারণ, দেশের সীমানায় নিয়মিত সময়েই সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় হয়। কিন্তু বিমান ভূমি থেকে কয়েক হাজার ফিট উপরে ওঠার পরে দেশের আকাশে সূর্য অস্ত গেলেও বিমান থেকে স্পষ্টভাবেই সূর্য দেখা যায়। বিশেষ করে বিমান যখন পূর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে যেতে থাকে।

যেমন কেউ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বিমানে উঠল। এক্ষেত্রে বিমান যেহেতু পশ্চিম দিকে যাচ্ছে তাই দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা সূর্য চোখের সামনে থাকে। অথচ বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী সূর্যাস্ত হয়ে গেছে অনেক আগেই।

এক্ষেত্রে বিমানের যাত্রীরা যদি সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাহলে দেখা যাবে কখনো কখনো রোজার সময় প্রলম্বিত হয়ে ২০-২২ ঘণ্টাও হয়ে যায়। এ বিষয়ে ইসলামী সমাধান কী?
এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো—

বিমানের যাত্রীরা নিজেরা যখন সূর্যাস্ত হতে দেখবে তখনই ইফতার করবে। উপরে উল্লেখিত পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বিদেশের আকাশে থেকে বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ইফতার করা যাবে না এবং যে এলাকার আকাশের উপর বিমান আছে সেখানের স্থলভাগের হিসেবেও নয়।
এক্ষেত্রে যদি রোজা ২০-২২ ঘণ্টারও হয়ে যায় তবুও সূর্যাস্ত না দেখে ইফতার করা যাবে না। তবে, কোনো ব্যক্তি যদি এই অবস্থায় রোজা পুরা করতে গেলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে তাহলে তিনি ভেঙে ফেলতে পারবেন এবং পরে এ রোজার কাজা করে নেবেন।
উল্লেখ্য যে, সফর অবস্থায় যদি সুবহে সাদিক শুরু হয় অর্থাৎ রাতের শেষ ভাগে যদি কেউ সফরে থাকে তাহলে শুরু থেকেই তার জন্য রোজা না রাখার সুযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে সে এর কাজা করে নিবে।

(বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৫; খিযানাতুল আকমাল ১/৩২৭; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/১৬৫; রদ্দুল মুহতার ২/৪২০; আলমাবসূত, সারাখসী ৩/৯১বিমানের যাত্রীরা ইফতার করবেন কীভাবে?, আল কাউসার অনলাইন)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট