বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে সংঘবদ্ধচক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আটকের পর তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ বোসরা ইসলাম জানান, মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইন্সটিটিউট কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী মো. সজিব সরদার এর প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে আটক হন আফজাল হোসেন বাদশা (৩৫)। তাকে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
বিএএফ শাহীন কলেজ তেজগাঁ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী মো. মনিরুজ্জামান (২৮) ব্ল-টুথ ডিভাইসের সাহায্যে বাহির থেকে প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করার সময়ে আটক হন। পরে তাকে কাফরুল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
কুর্মিটোলার সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী মো. মোরসালিন হোসাইনের প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে আটক হন আরিফুল ইসলাম (২৯) নামে একজন।
বোসরা ইসলাম আরও জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন পদে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং আসামিরা উক্ত চক্রের সক্রিয় সদস্য।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতিপালন করে তাই সর্বসাধারণকে স্যোশাল মিডিয়াসহ যেকোনো মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগের প্রলোভনের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।