1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
বিভিন্ন সেক্টরে দুর্ঘটনায় ৯০৫ জন শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছেন ২১৮ জন - NEWSTVBANGLA
বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন

বিভিন্ন সেক্টরে দুর্ঘটনায় ৯০৫ জন শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছেন ২১৮ জন

প্রতিনিধি

চলতি বছরে অনিরাপদ কর্মক্ষেত্রের কারণে বিভিন্ন সেক্টরে ৯০৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ২১৮ জন আহত হয়েছেন জানিয়ে এক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশন।

সংস্থাটির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২০২৩ সালে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ৪৩২ জন এবং আহত হয়েছিলেন ৫০২ জন। ফলে গত বছরের তুলনায় শ্রমিক নিহতের সংখ্যা কমেছে ৫২৭ জন, যা ৩৬.৮ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা কমেছে ২৮৪ জন, যা ৫৬.৬ শতাংশ।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৪ প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. এস এম মোর্শেদ।

১৫টি দৈনিক সংবাদপত্র এবং ওশি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে কর্মক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ১১৩ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ৭৫ জন এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ৭৯২ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ১৪৩ জন।

খাত ভিত্তিক তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ৫২২ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৫২ জন, ১৪৮ জন দিনমজুর নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৭২ জন, নির্মাণ খাতে নিহত ৬২ জন এবং আহত ৫ জন, কৃষি খাতে শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ জন ও আহত হয়েছেন ১ জন, মৎস্য খাতে নিহত ২৫ জন ও আহত ১০ জন, পোশাক শিল্পে নিহত ৫ জন ও আহত ২৯ জন, বিভিন্ন সেবা খাতে নিহত ২৪ জন ও আহত ১ জন, জাহাজভাঙা/শিপব্রেকিংয়ে নিহত ১১ জন ও আহত ৬ জন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নিহত ৬ জন ও আহত ৩ জন, নিরাপত্তা খাতে নিহত ৫ জন ও আহত ২ জন, গৃহস্থালি কাজে নিহত ৫ জন ও আহত ১ জন, চা শ্রমিক নিহত ৩ জন এবং অন্যান্য খাতে শ্রমিক নিহত ২৮ জন ও আহত ৩৬ জন।

প্রতিবেদনে কর্মস্থলে হতাহতের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা স্থাপনা থেকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গৃহশ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন, দেয়াল-ভবন-ছাদ ধ্বংস, বন্যপ্রাণীর আক্রমণ ও ভূমিধসের কথা বলা হয়েছে।

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে তাদের সুপারিশগুলো-

১. শ্রম আইন ও বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করা।

২. শ্রম আইন অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে মালিক শ্রমিক প্রতিনিধি সমন্বয়ে সেইফটি কমিটি গঠন।

৩. কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা এবং আহত শ্রমিককে ৫ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান।

৪. সব সেক্টরে ‘সেইফটি অডিট’ চালু করা, সরকারিভাবে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যের সঠিক ডাটাবেজ তৈরি।

৫. সর্বজনীন পেনশন স্কিমে দুর্ঘটনায় নিহত/আহত শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তি।

৬. শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালকে আধুনিকায়ন।

৭. কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ পিপিই ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।

৮. পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিমালা সম্পর্কে শিল্প মালিক ও ব্যবস্থাপকদের অবহিতকরণ।

৯. পেশাগত ব্যাধি নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল চালু করা।

১০. অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবার ও আহত শ্রমিককে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনাধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট