প্রশ্ন উঠতে পারে– কেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সঙ্গে ভারতের উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ বা নারী আইপিএলের তুলনা টানা হলো! তবে ক্রিকেটভক্তরা জেনে থাকবেন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তার এই সময়ে আর্থিক পুরস্কার টুর্নামেন্টের জৌলুস কতটা বাড়িয়ে দেয়। এর বাইরে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে টুর্নামেন্টের স্বচ্ছ আয়োজন, পারফরম্যান্সসহ আরও যা আছে। সেদিক বিবেচনায় নারী আইপিএলের চেয়েও ঢের পিছিয়ে বিপিএল।
বিশ্বজুড়ে পুরুষ অ্যাথলেটদের চেয়ে নারীদের পারিশ্রমিকে বড় পার্থক্য দেখা যায়। যদিও সেটি কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে সাম্প্রতিক সময়ে। আর এটিও অজানা নয় যে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড ও বড় ক্রিকেটীয় বাজারটা ভারতে অবস্থিত। ফলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রতিটি আসর যেন আগেরবারের চেয়ে আরও বেশি অর্থ-বিত্ত ও পারফরম্যান্সকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। সে হিসেবে নারী আইপিএলেও বড় অঙ্কের প্রাইজমানি থাকাটা স্বাভাবিক মনে হতে পারে।
তবে পুরুষদের ইভেন্ট বিপিএলের চেয়ে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ বা ডব্লুপিএলের প্রাইজমানির পার্থক্যটা বেশ বড়। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই কিংবা ডব্লুপিএল কর্তৃপক্ষ তাদের মোট প্রাইজমানিটা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। তবে চ্যাম্পিয়ন-রানারআপসহ ব্যক্তিগত পর্যায়ে পুরস্কৃতদের আর্থিক অঙ্কটা দেখলে তা অনেকটাই আঁচ পাওয়া যায়।
গতকাল (শনিবার) মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডব্লুপিএলের তৃতীয় আসরের ফাইনাল। যেখানে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান তোলে। দলের পক্ষে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। আর দিল্লির হয়ে ১১ রানে ২ উইকেট নেন মারিজান ক্যাপ। লক্ষ্য তাড়ায় ২০ ওভারে ৯ উইকেট ১৪১ রান তুলতে সক্ষম হয় দিল্লি। ক্যাপ সর্বোচ্চ ২৬ বলে ৪০ রান করেন। বিপরীতে মুম্বাইয়ের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন টুর্নামেন্টসেরা ন্যাট-শাইভার ব্রান্ট।
ডব্লুপিএলের তিন আসরে দ্বিতীয়বার শিরোপা জেতা মুম্বাই প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছে ৬ কোটি রুপি বা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা। টানা তিনবারই ফাইনালে উঠে রানার্সআপ হওয়া দিল্লির পকেটে গেছে ৩ কোটি রুপি বা ৪ কোটির বেশি টাকা। অন্যদিকে, সর্বশেষ বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন দলের (ফরচুন বরিশাল) জন্য বরাদ্দ ছিল আড়াই লাখ এবং রানার্সআপ দল (চিটাগাং কিংস) দেড় কোটি টাকা জিতে।