কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা (ভারতীয় ব্যবসায়ীরা) বাংলাদেশে এসে বিনিয়োগ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমরা আপনাদের স্বাগত জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলতেন ‘প্রতিবেশী সবার আগে’ এবং তিনি বাংলাদেশের সব প্রতিবেশী দেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য অগ্রাধিকার দেন।
বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জানান, তারা এটা ব্যবহার করতে পারেন এবং সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া সিইওরাও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে চান।
সালমান বলেন, বাংলাদেশে যারা ব্যবসা করছেন তারা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী।
সিআইআই পক্ষের সিইওরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তারা এফবিসিসিআই-এর সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কাজ করতে চান।
এক্ষেত্রে তারা বিশেষ করে কৃষি, আইটি ও লজিস্টিক সেক্টরে যৌথভাবে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তারা ভারতের বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে আইটি খাতে তাদের সাফল্য তুলে ধরেন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে বাংলাদেশে সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে চান।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নিজ দেশে বিরাজমান সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ,
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমদ, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরীসহ কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী।