সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে, বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কার সত্ত্বেও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন। গত ২১ জুলাই কমিশন তাদের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। তারা বলেছে, অন্তবর্তী সরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উত্তেজনা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার উন্নতিতে যে সংস্কার হাতে নিয়েছে সেগুলো অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মে মাসে বাংলাদেশ সফর করে কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। ওই সময় তারা জানান, যদিও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবুও অনেকেই নিরাপত্তা ও ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকলেও, দেশে এখনো ধর্ম অবমাননার আইন ও ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে শাস্তির বিধান রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে “ধর্মনিরপেক্ষতা” শব্দের পরিবর্তে “বহুত্ববাদ” যুক্ত করার সুপারিশ করা হলে, বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে এবং “আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” ফিরিয়ে আনার দাবি জানায়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো অভিযোগ করেছে, তাদের এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি।

এছাড়া নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে হেফাজতে ইসলামীর আপত্তি ও বিক্ষোভের বিষয়টিও মার্কিনিদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৪৩৩টি সুপারিশকে হেফাজতে ইসলাম “ইসলামবিরোধী” বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং মে মাসে ঢাকায় বিশাল সমাবেশ করে কমিশন বাতিলের দাবি তোলে।

এছাড়া বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে রক্ষণশীল ধর্মীয় প্রবণতা বেড়েছে এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় এখনো জবাবদিহির অভাব রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

হিন্দু, আদিবাসী, আহমদিয়া ও সুফি মুসলিমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলেও এতে দাবি করা হয়েছে।

অপরদিকে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা থাকলেও সরকার এখনো কার্যকর কৌশল জানায়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কমিশনটি বলেছে, সবাই যেন নির্ভয়ে ধর্ম পালন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে