বুধবার , ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

বটিয়াঘাটায় সংখ্যালঘু দলিত সম্প্রদায়ের উপর হামলার অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের সুকদাড়া বাজার সংলগ্ন দলিত সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও প্রকাশ্য দিবালকে জনতার সামনে পিতা,পুত্রকে বেদম মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী অর্জুন কুমার দাশ বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় সুকদাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আজাদ তরফদার (৫০) পিতা-নুর তরফদার ও আবু বক্কার শেখ (৬০) প্রাক্তন ইউপি সদস্য উভয় সাং- সুখদাড়া, থানা- বটিয়াঘাটা,জেলা- খুলনাকে আসামি করে এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অর্জুন কুমার দাশ বলেন, অভিযুক্ত বিবাদীগন আমার পরিচিত ও প্রতিবেশী। বিবাদীদের সাথে আমার ও আমার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। যার করনে বিবাদীরা বিভিন্ন কারনে অকারনে আমাকে সহ আমার ছেলে সবুজ কুমার দাশকে মারপিট করার জন্য সুযোগ খোজে।

গত ইং- ১০ মে ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান সিড়ে আটটার সময় তুচ্ছ একটি ঘটনার কারন নিয়ে বিবাদীগন আমার ছেলে ও আমাকে সুখপাড়া বাজারস্থ রবিন দাশের দোকানের সামনে রাস্তার উপর পেয়ে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং তারা বলে তোর ছেলে আজে বাজে কাজ করে বেড়াচ্ছে। আমি ও আমার ছেলে বিবাদীদের কথার প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা সকলে মিলে আমাকে ও আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে। বিবাদীদের মারপিটে আমি ও আমার ছেলে মারাত্বক ভাবে আহত হই। আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে আসলে বিবাদীরা আমাদের হুমকি দিয়ে বলে,আমরা যদি ঘটনার বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করি বা বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ করি,তাহলে আমাদের স্ব-পরিবারের লোকজনদের মারপিট করে হত্যা করিবে নতুবা আমাদের সুবাদাড়া থেকে তাড়িয়ে দিবে মর্মে হুমকি দেয়। সাবেক ইউপি সদস্য আবু বক্কার শেখ বলেন,ঘটনা সত্য। তবে আমি তাদেরকে মারিনি। শিক্ষক আজাদ তাদেরকে মেরেছে। অর্জুন দাশের ছেলের বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ রয়েছে। রাস্তা ঘাটে তার ছেলে ইপটিজিং করে বেড়ায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। শিক্ষক আজাদ তরফদার বলেন,ঘটনা সত্য না। আমি কাউকে মারিনি। বটিয়াঘাটা শিক্ষা অফিসার বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর সাথে কথা বলেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভুক্তভোগী সংখ্যা লঘু পরিবারের সদস্যরা বলেন,ইউপি সদস্য বক্কর ও শিক্ষক এর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। বটিয়াঘাটা থানার এস আই মোঃ আজিজ বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য সাবেক ইউপি সদস্য আবু বক্কর এর বিরুদ্ধে রয়েছে বটিয়াঘাটা থানায় একাধিক অভিযোগ।