রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ফরিদপুরে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৫

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫

ফরিদপুরে রেলক্রসিংয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তিনজন ঘটনাস্থলে ও বাকি দুইজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

ফরিদপুরে রেলক্রসিংয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তিনজন ঘটনাস্থলে ও বাকি দুইজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

মঙ্গলাবর (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা এলাকায় রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই মাইক্রোবাসে চালকসহ মোট ৯ জন ছিলেন বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা যায়, গেরদা থেকে একটি সড়ক রেলপথ অতিক্রম করে মুন্সিবাজার এলাকায় মিলেছে। ওই পথে অবৈধ রেলক্রসিং রয়েছে। অনুমোদিত রেলক্রসিং না হওয়ায় ওই স্থানে রেলবিভাগের কোনো তত্ত্বাবধান নেই। দুপুরে মধুমতী এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। অপরদিকে ওই মাইক্রোবাসটি গেরদা থেকে মুন্সিবাজারের দিক আসছিল। এ সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সালমান হোসেন দুপুরে জানান, দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি নিচের খাদে পড়ে যায়। সেটি উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনাস্থলে এসে তারা জানতে পেরেছেন আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে দুইজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তারা দুইজনই নারী। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মাইক্রোবাসের চালকও রয়েছেন।

ফরিদপুর রেলের স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, গেরদায় রেলবিভাগের অনুমোদিত কোনো রেলক্রসিং নেই। তবে দুর্ঘটনার বিষয়ে আমি শুনেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, আমি ও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি কেন ঘটল এবং ভবিষ্যতে কীভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায় সেটির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নিহতদের মরদেহ বহন ও দাফনের জন্য যাবতীয় খরচ বহন জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হবে।