1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
প্রত্যন্ত এলাকায় এখনো পৌঁছায়নি ত্রাণ,খাদ্য সংকটে বানভাসিরা - NEWSTVBANGLA
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঢাকায় রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে জুলাই বিপ্লব নতুনভাবে দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা যাবে না : চসিক মেয়র ‘হঠাৎ বিকট শব্দ, দৌড়ে গিয়ে দেখি বাড়ির ভেতরে আগুন আর কান্নাকাটি’ পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করার আহ্বান না ফেরার দেশে নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে ৭.৫ কোটি টাকার ভুয়া গল্প, আসলেই কি ঘটেছে বেলকুচিতে রাতের মধ্যে যেসব এলাকায় ঝড় হতে পারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামায় জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ললিপপ জনি কেরানীগঞ্জে এসি বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে

প্রত্যন্ত এলাকায় এখনো পৌঁছায়নি ত্রাণ,খাদ্য সংকটে বানভাসিরা

প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সাথে সাথেই খুলে দেওয়া হয় জেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন এ সংখ্যা আরও বেশি। সময় যত যাচ্ছে, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ত্রাণ সহায়তার কথা থাকলেও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।

শাল্লা উপজেলার বাসিন্দা হরিলাল দাস বলেন, ঘরের পানি কোমর সমান। পরিবারের সবাইকে নিরাপদে পাঠালেও ঘরের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি বাড়িতেই অবস্থান নিয়েছি। প্রশাসন শুকনো খাবার দিয়েছে। এতে একবেলার আহার জুটেছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা কাঞ্চনমালা বলেন, ভেজা কাপড়ে দিনযাপন করছি। এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা পাইনি। সবাই আসছে, দেখছে, চলে যাচ্ছে।

সুনামগঞ্জ সদরের ইসলামপুরের বাসিন্দা লিয়াকত মুন্সি বলেন, সদর উপজেলায় আমাদের গ্রাম বেশি ক্ষতির মুখে। আমরা এখনো কোনো সহায়তা পাইনি। অনেকের ঘরে আজ অব্দি চুলা জ্বলেনি। কিছু প্রতিবেশীর দয়ায় খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। সবাই শহরের মধ্যে যাচ্ছে। আমাদের দেখার কেউ নেই।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জের ১০টি উপজেলার ৪টি পৌরসভা ও ৭৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত। ১ হাজার ১৮টি গ্রামের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে সদর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলা বেশি আক্রান্ত। গতকাল বুধবার রাত থেকে জেলার শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় পানি বেড়েছে। এসব উপজেলায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। জেলার মোট ৫৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবন, ব্যক্তিমালিকানা ভবনে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সামাজিক, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক যত সংঘটন খাবার বিতরণ করছে তারা সবাই শহর কেন্দ্রিক কাজ করছে। অথচ গ্রাম পর্যায়ে মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারতের চেরাপুঞ্জি ও সুনামগঞ্জে অন্যান্য দিনের তুলনায় বৃষ্টি কম হওয়ায় শহরে পানি কমেছে। তবে শহরের পানি হাওরে প্রবেশ করায় গ্রামাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছি। আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সকল উপজেলার ইউএনওকে ইতিমধ্যেই অবগত করা হয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট