রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

প্যারোলে মুক্তি নিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের ভিন্নমত

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১৮

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০১৮ ইং

খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তির দাবি করে খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত মত বলে উল্লেখ করেছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

তিনি বলেন, প্যারোলে মুক্তি নিয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা ওনার ব্যক্তিগত অভিমত। আমাদের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করেননি।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে মাদকমুক্ত অভিযানের নামে ‘বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, বুধবার আমাদের একজন আইনজীবী (খন্দকার মাহবুব) যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা মনে করি এটা তাদের ব্যক্তিগত মতামত। তার এই ব্যক্তিগত মতামতের ওপর আমরা কোনো বক্তব্য রাখতে চাই না।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেয়ার দাবি জানান সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন।

তিনি বলেন, দেশের একজন নাগরিক এবং সাবেক তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সেই চিকিৎসা তিনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই সেই চিকিৎসাসেবা দেয়া উচিত। আমরা আইনজীবী হিসেবে মনে করি আইনের দৃষ্টিতে তার সে অধিকার রয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ মাদকমুক্ত হোক। কিন্ত তা অবশ্যই আইন মোতাবেক হতে হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নয়।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নয়, প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদার এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যক্তিকে আইনের কাছে সোপার্দ করতে হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে সব মহলকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেগম জিয়া খুবই অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্য খন্দকার মাহবুব হোসেন সম্ভবত এ দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দীর্ঘ ৪ মাসের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি থেকে খালেদা জিয়ার রোগ আরও জটিল আকার ধারণ করেছে, তৈরি করেছে জীবন শঙ্কা। এ অবস্থায় প্রচলিত আইনের ধারাবাহিকতায় দ্রুত মুক্তির সুযোগ না থাকায় প্যারোলই একমাত্র সমাধান।