দেশজুড়ে চলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সড়ক, পিলার ও দেয়ালে লেখা স্লোগান মুছে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও পালন করছেন তারা। গত দুদিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্রই দেখা গেছে। শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে ‘রাজসিক বিহার’ ভাস্কর্যের উপরে লেখা স্লোগান মুছে দিচ্ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, মাসব্যাপী আন্দোলনের সময় তারাই এসব স্লোগান এঁকেছিলেন। এখন তারাই সেগুলো মুছে দিচ্ছেন।
বেইলি রোড, পরিবাগ, যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে এই চিত্র। শিক্ষার্থীরা মাস্ক-গ্লাভস পরে ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা ও অন্যান্য স্থাপনা পরিষ্কার করছেন। সেই সঙ্গে রং বা স্প্রে দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন এসব স্লোগান। অনেকে আবার পানি বা অন্য কিছু দিয়ে এগুলো তুলে ফেলছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, এসব দেওয়াল লিখন মুছে সেখানে তারা নানা গ্রাফিতি আঁকবেন। এ ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশলের শিক্ষার্থী মেহেরনাজ বলেন, অস্বীকার করার কিছু নেই, আন্দোলন চলাকালে আমরাই এসব লিখেছিলাম। এখন আবার আমরাই নিজ দায়িত্বে এসব লেখা মুছে সব কিছু পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমরা এগুলো মুছে দিচ্ছি। পরে যেসব জায়গায় সম্ভব আমরা এই আন্দোলনে আমাদের গৌরবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেয়ালচিত্র আঁকব। এসব কাজে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ মানুষও তাদের এই কাজে উৎসাহিত করছেন।
আন্দোলনের জেরে রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় পুরো দেশই পুলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের মতো কঠিন কাজটি স্বেচ্ছায় নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকাসহ পুরো দেশে শিক্ষার্থীদের পালা করে এ দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। আবার অনেক স্থানে আন্দোলনের সময় ভাংচুর বা জ্বালাও পোড়াওয়ের কারণে পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনাও পরিষ্কার করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এসব কাজে হাত লাগিয়েছে।
আন্দোলনের জেরে রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় পুরো দেশই পুলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের মতো কঠিন কাজটি স্বেচ্ছায় নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকাসহ পুরো দেশে শিক্ষার্থীদের পালা করে এ দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। আবার অনেক স্থানে আন্দোলনের সময় ভাংচুর বা জ্বালাও পোড়াওয়ের কারণে পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনাও পরিষ্কার করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এসব কাজে হাত লাগিয়েছে।