রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পানি পানের সময় যে কাজ করতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

একজন ব্যক্তির কী পরিমাণ পানি পান করা উচিত তা বিভিন্ন ফ্যাক্টরের জন্য ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। সাধারণভাবে বলা যায়, পূর্ণবয়স্ক নারী-পুরুষের প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে দিনে কতটুকু পানি পান করতে হবে তা নির্ভর করবে মূলত আবহাওয়া, শারীরিক শ্রম ও ওজনের ওপর।

গ্রীষ্মকালে গরম আবহাওয়ার কারণে পানির চাহিদা বেড়ে যায়। আবার শীতকালে পানি পানের ইচ্ছা কম হয়। তবে সবসময় শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করা ভালো। যারা পরিশ্রম বেশি করেন তাদের বেশি পানি পান করতে হবে।

পানি আল্লাহ তায়ালা বিশেষ নেয়ামত। এই নেয়ামত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে কি তোমরা চিন্তা করেছ? তোমরাই কি তা মেঘ হতে নামিয়ে আন, না আমি তা বর্ষণ করি? আমি ইচ্ছে করলে— তা লবণাক্ত করে দিতে পারি। তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না? (সুরা ওয়াক্বিয়া, আয়াত : ৬৮-৭০)।

পানি পানের সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। যেমন, ডান হাতে পান করা। বসে পান করা। শুরুতে (বিসমিল্লাহ) পড়া এবং শেষে (আলহামদুলিল্লাহ) পড়া— ইত্যাদি।

এই নিয়মগুলো পালনের পাশাপাশি পানি পানের সময় কিছু কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। এর মধ্যে অন্যতম হলো— পানি পানের সময় পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলা এবং তাতে ফুঁ দেওয়া। হাদিসে এই কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন (তিরমিজি, হাদিস : ১৮৮৮; মিশকাত, হাদিস : ৪২৭৭)।

পানিতে ফুঁ দিলে তাতে নিঃশ্বাস থেকে নিঃসৃত জীবাণু মিশ্রিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্যই সম্ভবত রাসূল (সা.) এ কাজ থেকে নিষেধ করেছেন। (রিয়াযুছ ছালেহীন, ৪/২৪৪)। তাই গরম চা বা কফি ঠান্ডা করার উদ্দেশ্যে হলেও ফুঁ না দেয়াই উত্তম।

শায়খ উছায়মীন বলেন, পানীয় ঠান্ডা করার জন্য ফুঁ দেওয়া প্রয়োজন সাপেক্ষে জায়েয হওয়ার ব্যাপারে কতিপয় বিদ্বান মত দিয়েছেন। তবে উত্তম হচ্ছে পরিহার করা। খাবার গরম হলে অন্য পন্থায় ঠান্ডা করা যেতে পারে। (শরহ রিয়াযুছ ছালেহীন, ৪/২৪৪-৪৫)।